নেত্রকোনায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আগামী ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণের জন্য শুরু হচ্ছে প্রশিক্ষণ। মঙ্গলবার থেকে থেকে শুরু হচ্ছে পোলিং অফিসারদের প্রশিক্ষণ। প্রথম দুদিন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হবে বারহাট্টা উপজেলায়।
পর্যায়ক্রমে দুদিন করে আটপাড়া ও নেত্রকোনা সদরে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত হবে। এদিকে, নির্বাচনকে ঘিরে জেলায় বিরাজ করছে উত্তেজনা। একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় শুরু হয়েছে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাও।
নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতীক পাওয়ার পরপরই নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টায় ঘটেছে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা। জেলা সদরের দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা। এদিকে, বারহাট্টা উপজেলায় বিদ্রোহী প্রার্থীর কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার লক্ষিগঞ্জ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান প্রার্থী শফিকুল কাদের সুজা নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে করেছেন লিখিত অভিযোগ। এসকল অভিযোগ আমলে নিয়ে প্রায় প্রতিদিন পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন এলাকা পরিদর্শন করছেন।
জানা গেছে, জেলার তিন উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সদরে ১২টি, আটপাড়া উপজেলায় ৭টি ও বারহাট্টা উপজেলায় ৭টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।
তবে নির্বাচনকে ঘিরে ইতিমধ্যেই আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে প্রার্থীদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আসছে নির্বাচন কমিশনে। মোখিক এবং লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ। এখন পর্যন্ত নেত্রকোনা সদরে ১২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৩টি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও মৌখিক অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৩ উপজেলা নেত্রকোনা সদর, বারহাট্টা ও আটপাড়ার মোট ২৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন মোট ৮৫ জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য ২৮৪ ও সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য ৮৫০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিভিন্ন প্রতীক নিয়ে।