শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নির্বাচনী প্রচারণার খিচুরি নিয়ে ছোট শিশুদের ঝগড়ার জেরে ভগ্নিপতিকে (ছোট বোনের স্বামী) কুপিয়ে হত্যা করেছে সোলায়মান। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার বাঘবেড় বালুরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুমান মিয়া (৩০) একই গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার বাঘবেড় এলাকায় শুক্রবার রাতে ইউপি নির্বাচনী প্রচারণার খিচুরি বিতরণ করা হয়। ফ্রিজে রেখে দেওয়া ওই খিচুরি পর দিন শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নিহত রুমানের ছোট ভাই ভাষাণীর মেয়ে বর্ষাকে (৬) খেতে দেওয়া হয়। বর্ষা ওই খিচুরি হাতে নিয়ে প্রতিবেশি মানিক মিয়ার বাড়িতে যায়। এ সময় মানিক মিয়ার ছেলে মমিন (৩) তার খিচুরি ফেলে দেয়।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মানিকের ভাতিজা অটোচালক অভিযুক্ত সোলায়মান নিহত রুমানের বাবা ও বোনের শ্বশুর আজিজুলকে আঘাত করেন। প্রতিবাদ করতে গেলে রুমান ও তার ভাই ভাষাণীর সঙ্গে ঝগড়া বাঁধে। পরে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফার ছেলে এসে রবিবার বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে চলে যান।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুমান তার মোটরবাইক নিয়ে বাঘবেড় বাজারের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু আগে থেকেই অভিযুক্ত সোলায়মান ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচশ গজ দূরে বাঘবেড় বালুরচর মসজিদের কাছে অবস্থান করছিল। সেখানে আসা মাত্রই রাস্তায় বেরিকেড দিয়ে ভগ্নিপতি রুমানের পথ রোধ করে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে ফেলে যায়।
এ সময় পথচারীরা রুমানকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, এ ঘটনায় নিহত রুমানের বাবা আজিজুল হক বাদী হয়ে চারজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।