টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাবেক স্ত্রী ও তার শাশুড়িকে হত্যার পর আত্মহত্যার করেছেন শাহজালাল। টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মোহাম্মদ কায়ছার এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরে সুমি ও শাহজালাল পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন। প্রায় পাঁচ মাস তারা ঘর সংসার করেন। এরপর সুমির বাবা জিন্নাত আলী তাদের দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে সুমিকে বাড়িতে রেখে দেন। ওই সময় সুমি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পরে তার গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট করার শর্তে সুমির আগের স্বামী জয়নুদ্দিন বিদেশ থেকে দেশে ফিরে সুমিকে আবার তার কাছে ফেরত নেন। এর কিছুদিন পর জয়নুদ্দিন আবার বিদেশে চলে যান। সন্তান নষ্ট করায় সুমির সাবেক স্বামী শাহজালাল ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘সুমির স্বামী জয়েন উদ্দিন বাড়িতে না থাকায় মাঝে মধ্যেই শাহজালাল সুমির শ্বশুরবাড়িতে আসতেন। ঘরের বারান্দার লোহার গ্রিলের চাবিও ছিল শাহজালালের কাছে। ধারনা করা হচ্ছে, শনিবার রাতে শাহজালাল সুমির ঘরে প্রবেশ করে। একপর্যায়ে ছুরি দিয়ে তার সাবেক স্ত্রী সুমি ও সুমির শাশুড়িকে হত্যা করে। এসময় সুমির শিশু সন্তানকেও হত্যার চেষ্টা করে। এরপর শাহজালাল নিজেই আত্মহত্যা করে।’
এদিকে, এ ঘটনায় ঘাটাইল থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করা হয়েছে। নিহত জামেলা বেগমের বড় ছেলের স্ত্রী শাহানাজ বেগম আজ রবিবার বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করছেন।
এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার দিঘর ইউনিয়নের কাশতলার খামারপাড়া এলাকার একটি বসতঘরে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের সৌদি প্রবাসী জয়নুদ্দিনের স্ত্রী সুমি আক্তার (২৫), জয়নুদ্দিনের মা জমেলা বেগম (৫৫) এবং শাহজালাল ইসলাম সোহাগ (৩০)। শাহজালাল কালিহাতী উপজেলার সাতুটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার সোহরাব আলীর ছেলে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত জয়নুদ্দিনের ছেলে শাফি (৩) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।