নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় প্রায় দুই বছর আগে ধর্ষণের শিকার হয়ে বিচার না পেয়ে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন এক তরুণী। পরে বাধ্য হয়েই তাকে শেকলবন্দি করে রাখে পরিবার। সে ঘটনায় এ বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ওই তরুণীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হানিফ মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) দিনগত রাতে হানিফ মিয়াকে গৌরীপুর উপজেলায় তার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য হানিফ মিয়াকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী তরুণীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় ইউপি সদস্য হানিফ মিয়াকে আসামি করা হয়। এছাড়া ধর্ষণে সহায়তাকারী হিসেবে মাইজকান্দি গ্রামের এক নারীকেও আসামি করা হয়।
প্রায় দুই বছর আগে ওই তরুণীকে হানিফ মিয়া ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি আট হাজার টাকায় মীমাংসা করা হয়।
এরপর থেকেই মেয়েটি ধীরে ধীরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তাই পরিবারের লোকজন বাধ্য হয়ে তাকে এখন শেকলবন্দি করে রেখেছেন।