শেরপুর জেলা হাসপাতাল ও অপর চারটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলিয়ে আছে মোট ১০টি অ্যাম্বুলেন্স। সরকারের দেওয়া মূল্যবান এতগুলো অ্যাম্বুলেন্সের জন্য নিয়োজিত আছেন মাত্র চারজন চালক। চালক সংকটে একদিকে মানুষজন কম খরচে সরকারি এই সেবা তেমন নিতে পারছেন না, অপরদিকে ব্যবহার না হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সগুলোর ক্ষতি হচ্ছে। প্রতিটি হাসপাতালে কমপক্ষে আরও একজন করে অ্যাম্বুলেন্স চালক থাকলে সমস্যার কিছুটা সমাধান হতো বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
জানা গেছে, শেরপুর জেলা হাসপাতালের জন্য তিনটি, শ্রীবরর্দী হাসপাতালে দুইটি, নালিতাবাড়ী হাসপাতালে দুইটি, ঝিনাইগাতি হাসপাতালে দুইটি ও নকলায় একটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। অপরদিকে, শেরপুর জেলা হাসপাতালের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের বিপরীতে একজন, ঝিনাইগাতির দুটি অ্যাম্বুলেন্সের বিপরীতে একজন, নালিতাবাড়ীর দুটি অ্যাম্বুলেন্সের বিপরীতে একজন, নকলা হাসপাতালে একজন চালক আছেন। শ্রীবর্দীর দুটি অ্যাম্বুলেন্সের বিপরীতে কোনো চালক নেই।
চাকরিরত চারজন চালকের বয়স ৫৫-এর উপর। একবার রোগী নিয়ে কোথায়ও গেলে আর কোনো সেবা দেওয়ার মতো অবস্থা কারও থাকে না। এই চালক সংকটে কম দামে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষরা। ফলে ভুক্তভোগীরা দ্বিগুণ টাকায় বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স নিতে বাধ্য হচ্ছেন। এভাবেই চলছে শেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থাপনা।
তবে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ আউট সোর্সিং থেকে কয়েকজনকে নিয়োগ দিয়ে চরম সংকট কাটানোর চেষ্টা করেছেন। আগামী এক বছরের মধ্যে চারজনের মধ্যে অন্তত তিনজন অবসরে চলে যাবেন। এখনই ব্যবস্থা না নিলে সংকট আরও ঘনীভূত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
চালক সংকটের কথা স্বীকার করে জেলা সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনওয়ারুল রউফ জানান, সেবা ও গাড়িগুলোর ব্যবহার অব্যাহত রাখতে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে আউট সোর্সিং থেকে কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছে। তবে এই বিকল্প ব্যবস্থা সমাধান নয়। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বারবার চেয়েও কোনো ফল হয়নি বলে দাবি সিভিল সার্জনের।