শেরপুর জেলা শহরের বাগবাড়ী মহল্লার দারুস শিফা হাসপাতালে একটি সভা চলাকালে ১৭ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তাদেরকে আটক করে সদর থানায় নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ৯নং কক্ষে একটি সভা চলাকালে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও শেরপুর সদর থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে জামায়াত সন্দেহে ২৩টি মোবাইল ফোন সেট ও ১৭ জনকে সদর থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটককৃতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন ঝিনাইগাতী উপজেলার মো. আব্দুল বারীর ছেলে আ. রউফ (৪০), শেরপুর পৌরসভার বাগরাকসা মহল্লার মৃত মিয়ার উদ্দিনের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০), সজবরখিলা মহল্লার মৃত নবাব আলীর ছেলে মো. সামস উদ্দিন (৬০), মৃত আ. রহমানের ছেলে মো. আনিসুর রহমান (৫০), মৃত মোজাফ্ফর আলীর ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (৫২), সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের জঙ্গলদী গ্রামের মৃত ময়েজ উদ্দিনের ছেলে গোলাম মোস্তফা (৫৪), পৌরসভার কান্দাপাড়া মহল্লার মৃত সোহরাব হোসেনের ছেলে বুলবুল আহম্মেদ (৫৫), দিঘারপাড় মহল্লার মৃত আমানুল্লাহ খানের ছেলে আ. মোনাফ খান (৪৮), গাজীরখামার খরখড়িয়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে গোলাম কিবরিয়া (৩৬)।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তথ্যের ভিত্তিতে শেরপুর সদর থানা পুলিশ সোমবার বিকেলে শেরপুর পৌরসভার বাগবাড়ী মহল্লার দারুস শিফা হাসপাতালের ৯নং কক্ষে যৌথ অভিযান চালায়। এ সময় গোপন বৈঠক করার সময় জামায়াত সন্দেহে ১৭ জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়।
সদর থানার ওসি (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া জানান, এনএসআই’র তথ্যের ভিত্তিতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। যাদেরকে থানায় আনা হয়েছে তারা নিজেদেরকে পল্লী চিকিৎসক বলে দাবি করেছে এবং সেখানে পল্লী চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের একটি সভা চলছিল বলে জানিয়েছে। সেখান থেকে পল্লী চিকিৎসকদের সভা সংক্রান্ত একটি ব্যানারও জব্দ করা হয়েছে। তারা কোনো ধরনের অপতৎপরতার সাথে জড়িত কি না, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং তাদের নিকট থেকে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, পুলিশ ১৭ জনের খোঁজখবর এবং জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রেখেছেন।