শেরপুর সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল গতকাল রোববার। এ দিন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত ১৪ প্রার্থীসহ মোট ৫৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জাতীয় সংসদের হুইপ মো. আতিউর রহমানের বড় ভাইসহ আওয়ামী লীগের একাধিক ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলার ১৪ ইউপির নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫৯ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে ১৯৯ জন ও সাধারণ সদস্যপদে ৫৬৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে তিনজন নারী প্রার্থী আছেন।
এদিকে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আতিউর রহমানের ভাই মো. ইসমাইল হোসেন, পৌর যুবলীগের সদস্য এস এম সাব্বির আহম্মেদ, রৌহা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মিজু, লছমনপুর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া, বলাইয়েরচর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ইয়াকুব আলী এবং চরমোচারিয়া ইউনিয়ন থেকে ইসমাইল হোসেন কামারিয়া।
পৌর যুবলীগের সদস্য এস এম সাব্বির আহম্মেদ বলেন, তিনি দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন না পাওয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন দায়িত্বশীল নেতা প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বড় দল। এখানে দু-একজন মনোনয়নবঞ্চিত ব্যক্তি প্রার্থী হতেই পারেন। এতে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তাঁরা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। সর্বোপরি দলের নেতা–কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবেন। তবে যাঁরা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদেরকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের জন্য দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হবে বলে জানান তিনি।
সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আগামী ১১ নভেম্বর উপজেলার ১৪টা ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ হবে। ২০ অক্টোবর মনোনয়নপত্র বাছাই এবং প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২৬ অক্টোবর।