কিশোরীর বিয়ে হওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই জন্ম নেয় এক ছেলে সন্তান। এরপর ওই কিশোরীকে তালাক দিয়ে নবজাতকসহ বাড়িছাড়া করেন স্বামী। উপায় না দেখে নবজাতককে লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে কিশোরী।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের রাউলেরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তবে পরিবারের সদস্যদের দাবি, শিশুটিকে বিক্রি করা হয়নি। সামাজিক লাঞ্ছনার ভয়ে বরিশালের এক নিঃসন্তান পরিবারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ওই গ্রামে গিয়ে জানা যায়, পোশাক কারখানায় কাজ করা ওই কিশোরীকে ৬ মাস আগে নান্দাইলের আচারগাঁও ইউনিয়নের এক দলিল লেখকের ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয় পরিবার। বিয়ের প্রায় ছয় মাস পর ওই কিশোরী একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। এরপর সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে তালাক দেন স্বামী।
এদিকে, পিতৃপরিচয়হীন শিশুকে নিয়ে গ্রামে বসবাস করতে চাইলেও সামাজিকভাবে চাপের মুখে পড়ে কিশোরীর পরিবার। এক পর্যায়ে বসে সালিস। সেখানে ওই কিশোরী মাকে লাঞ্ছনা করা হয়। পরে কিশোরী তার নবজাতককে নিয়ে ঢাকায় চলে যায় এবং শিশুটিকে বিক্রি করে দেয়।
ওই কিশোরীর বড় বোন জানান, তার এক বোনের সন্তান নেই। তাই ওই সন্তানকে রেখে দিতে চাইছিলেন। কিন্তু সমাজের ভয়ে সেটা সম্ভব হয়নি। তাই তার বোনের শিশুপুত্রকে বরিশালের এক নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কিশোরীর মা বলেন, ‘মেয়ের বাচ্চার পিতৃপরিচয় নিয়ে সমাজ কথা বলছে। আমাদেরও বিষয়টি জানা নেই। তাই আমরা আর বাড়াবাড়ি করিনি।