স্বামীর বাড়ি থাকলেও বনিবনা হচ্ছিল না। এ অবস্থায় ইচ্ছা না থাকলেও সালিসে এক বছরের সংসার জীবনে অবসান হয় তালাকের মাধ্যমে। ঘটনার তিনদিন পার হলে অপমানে অপবাদে তালাকপ্রাপ্ত গৃহবধু বাবার বাড়িতেই ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই গৃহবধু হচ্ছেন ওই গ্রামের মো. জয়নালের মেয়ে (২০)। গত প্রায় এক বছর আগে বিয়ে হয় পাশের ত্রিশাল উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের কালিরহাট গ্রামের মো. সাব্বিরের (২৮) সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুক দাবি ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাধ চলে আসছিল। এর মধ্যে স্ত্রীকে মারধর করলে বেশ কয়েকবার বাবার বাড়ি চলে যায় সে। পরিবারের দেনদরবারে স্বামীর বাড়িতে ফিরে গেলেও সংসারে ছিল অশান্তি।
নিহতের বাবা জয়নাল মিয়া জানান, মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে ধারদেনা করে কয়েকবার প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা দেওয়া হয় স্বামীকে। কিছু দিন পর পর আবারও টাকার জন্য চাপ দেয় সে। অনথ্যায় তালাক দেওয়া হুমকী দিয়ে আসছিল। স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, গত শুক্রবার এ নিয়ে সাব্বিরের বাড়ির কাছে কালিরবাজারে দুই পক্ষের উপস্থিতিতে এক সালিসের আয়োজন করা হয়। এতে সিদ্ধান্ত হয় খোলা তালাকের মাধ্যমে এক বছরের সংসারের ইতি।
নিজের ইচ্ছা না থাকলেও তালাক প্রাপ্ত হয়ে ওই গৃহবধু ঘটনাস্থলেই জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বাবার বাড়িতে নেওয়া হয়। তিন দিন পর আজ সোমবার দুপুরে নিজ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে সে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল কাদের মিয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থায় অন্যথায় বিনা ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হবে।