ময়মনসিংহের নান্দাইলে ছয় দিন আগে ধান ক্ষেতে পাওয়া অজ্ঞাত পরিচয় বৃদ্ধের জবাই করা লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন ও মূল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
স্থানীয় ও সূত্র পিবিআই জানায়, অজ্ঞাত পরিচয় লাশ পাওয়ার পর নিহতের ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে জানা যায় ওই বৃদ্ধের ঠিকানা। পরে জানা যায় নিহত ওই বৃদ্ধ হচ্ছেন নরসিংদীর পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাতেহারা মহল্লার মো. ফজলুল হক (৭৫)। গত ২২ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বেড়াতে গিয়ে নিখোঁজ ছিলেন। এ অবস্থায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার বাসায় ভাড়া থেকে সেখানকার একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আবুল হাসান (২৫)। সেই বৃদ্ধকে তার গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে আসেন। পরে তাকে গ্রেপ্তারের পর নান্দাইলে নিয়ে এলে মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে তিনি হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।
প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে হাসান জানান, সপ্তাহ খানেক আগে তার স্ত্রীর সিজারে সন্তান হলে বাড়ির মালিক কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন। ওই সময় বেশ কিছু নগদ টাকা মালিকের কাছে দেখে লোভ সামলাতে পারছিল না। পরদিন আবার কিছু টাকা ধার চাইলে মালিক দিতে অস্বীকার করেন। এ অবস্থায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে কৌশলে বাড়ির মালিককে নিজ এলাকায় বেড়ানো নিয়ে যাওয়ার কথা বলে রাজী করায়। পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর সকালে নান্দাইলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এলাকায় এসে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে রাত গভীর হলে সে বৃদ্ধকে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পিছনে ধান ক্ষেতে নিয়ে জবাই করে হত্যার পর তাঁর পাঞ্জাবির পকেটে থাকা ৩০ হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
মঙ্গলবার ময়মনসিংহ জেলা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাসের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল ময়মনসিংহের নান্দাইলের কামালপুর গ্রামের ঘটনাস্থলে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন গ্রেপ্তার হওয়া আবুল হাসান। এ সময় জবাইয়ে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে।