কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আজ শুক্রবার সকালে শিমুলকান্দি ইউনিয়নের ইমামেরচর কবরস্থান থেকে মৃত্যুর ১ বছর ৪ মাস ১০ দিন মাস পর সাপে কাটা রাজিব ভূইয়া আবিরের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। তিনি শিমুলকান্দি গ্রামের আবদুল হক ভূইয়ার পুত্র।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন, হোসেনপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন, ভৈরব থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক আ. আওয়াল, স্থানীয় ইউপি সদস্য জসিম উদ্দীন ও সমাজসেবক মিজানুর রহমান ভূইয়া রিপন ও নিহতের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহতের পরিবার ও মামলার অভিযোগে জানা যায়, নিহত আবির তার ২ বন্ধু সামির ও বাদলের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার আশুতিয়া টুটার জঙ্গল গ্রামের মৃত মকবুল ডাক্তারের পুত্র নয়ন ও সুমনের পোল্ট্রি খামারে শ্রমিকের চাকরি নেন। পরে ২০২০ সালের ১৬ মে খামার মালিক সুমন মুঠোফোনে আবিরের পরিবারকে জানায় আবিরকে সাপে কেটেছে। পরদিন আবিরের পরিবার ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে গিয়ে আবিরের মরদেহ দেখতে পায়। ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হলে তারা চিকিৎসককে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারেন, এটা সাপে কাটা মৃত্যু নয়। পরে তারা মরদেহ ভৈরবে নিজ বাড়িতে এনে কবরস্থানে দাফন করেন। করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় দীর্ঘ ২ মাস পর আবির হত্যার বিচার চেয়ে তারা কিশোরগঞ্জ ৩ নম্বর আমলী আদালতে একটি অভিযোগ দাখিল করেন। পরে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কিশোরগঞ্জ পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। পরে পিবিআই তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
প্রতিবেদন দাখিলের পর আদালত লাশটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুল হক ভূইয়া ও বোন রুনা বেগম জানান, আবিরকে হত্যা করে ঘটনা ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য ঘাতকরা সাপেকাটা বলে চালিয়ে দিতে চাইছেন। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তারা।
এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলহাস হোসেন সৌরভ জানান, আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তীতে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।