1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নির্বাচন কমিশন থেকে নামিয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’, ছাত্রদল কর্মীদের বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ পাবে ১৮ হাজার ১৪৯ জন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিষয়ে নির্দেশনা আদালত দেবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সিইসি ও চার কমিশনার শপথ নিলেন সেইলরের ব্র‍্যান্ড এম্বাসেডর হলেন তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও বিদ্যা সিনহা মিম মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা নির্দোষ ব্যক্তিদের নামে হওয়া মামলা আইন মেনে প্রত্যাহারের নির্দেশ জামালপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননা সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বারা সম্ভব নয় : তারেক রহমান

এক যুগ ধরে শেকলবন্দি সাঈদ

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ছোট থেকেই একটু ‘সহজ-সরল’ আবু সাঈদ। তবে বয়স যখন ১৩ বছর তখন থেকেই কিছুটা অস্বাভাবিক। হঠাৎ-হঠাৎ পরিবারের কাউকে না বলে নিরুদ্দেশ চলে যেতো। আবার ফিরে আসতো একাই। মারধোর করতো স্থানীয়দের। এরপর থেকে তাকে শেকলবন্দি করে রাখে পরিবার। এক-দুই দিন না, দীর্ঘ একযুগ ধরেই শেকলবন্দি সাঈদ।

আবু সাঈদ (২৫) নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের মধুকুড়া গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।

মুক্ত থাকলে হারানোর ভয় ও অন্যের ক্ষতি করতে পারেন, এমন আশঙ্কায় তাকে শেকলবন্দি করে রাখে পরিবার। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বাড়ির সামনে একটি গাছে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। রাতে নেওয়া হয় ঘরের বারান্দায়। তবে সেখানেও রাখা হয় শেকলবন্দি। খাওয়া-দাওয়াসহ সাঈদকে সকল প্রয়োজনীয় কাজ করতে হয় শেকলবন্দি অবস্থায়।

১৩ বছর বয়সে চিকিৎসার জন্য চিকিৎসক ও কবিরাজ দেখানো হয় তাকে। দীর্ঘদিন চিকিৎসা চললেও কোনো পরিবর্তন আসেনি সাঈদের। একপর্যায়ে টাকার অভাবে বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা। এরপর থেকে তার শেকলবন্দি জীবন।

সাঈদের মা সেলিনা (৪৩) বলেন, ‘আমরা গরিব বিধায় ছেলের চিকিৎসা করাতে পারছি না। নিরুপায় হয়ে চোখের সামনেই প্রতিনিয়ত সাঈদের বন্দিদশা দেখতে হচ্ছে।’

সাঈদের চিকিৎসার জন্য একবার স্থানীয় সংসদ সদস্য বাবু মানু মজুমদার মহোদয়ের কাছ থেকে চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা অনুদান পেয়েছিলেন বলে দাবি করেন তার বাবা বাবুল মিয়া। তবে সংসারের আয়ের উৎস না থাকায় এখন অভাবে দিন কাটছে তাদের। একটি সরকারি ঘর চেয়েও পাননি বলে জানিয়েছেন বাবুল মিয়া।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বলেন, সাঈদের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে তার সুচিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি