২০১৫ সালে মারা গেছেন মোফাজ্জল হোসেন ও শিপন মিয়া। তবে সেটা সরকারি হিসাবে। আসলে তারা এখনো বেঁচেই আছেন। আর সেই বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তারা।
ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে। ওই দুই ব্যক্তি বেঁচে থাকার পরও ভোটার তালিকায় তাদের মৃত দেখানোর ফলে নানারকম হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এতে তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তি, করোনার টিকা গ্রহণসহ সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।
ভুক্তভোগীরা জানান, উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের স্বল্পচরপাড়া গ্রামের জসিম উদিনের পুত্র মোফাজ্জল হোসেন ২০১৩ সালে ভোটার হন এবং উচাখিলা ইউনিয়নের মরিচারচর টানপাড়া মলামারী গ্রামের মৃত আবু সাঈদের পুত্র শিপন মিয়া ২০০৮ সালে ভোটার হয়ে তারা জাতীয় পরিচয়পত্র এনআইডি কার্ড সংগ্রহ করেন।
২০১৫ সালের ভোটার তালিকায় ওই দু’ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়। এতে তারা কোনো নির্বাচনে ভোট দিতেও পারেননি। এছাড়া সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন, বিদ্যালয়ে ভর্তি, ভিজিএফ, ভিজিডি, করোনার টিকাসহ কোনো প্রকার সরকারি সুবিধা তারা পাননি।
ভোটার তালিকায় কর্তনকৃত নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচন অফিসারকে লিখিত আবেদন করার ৬ মাস পরও এর প্রতিকার পাননি তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মাহাবুবুল হক জানান, স্থানীয়ভাবে এ বিষয়ে কিছু করার নেই। অভিযোগ পাওয়ার পর কাগজপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।