নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় নিখোঁজের পরদিন বিলে পাওয়া গেছে সাত বছরের এক শিশুর লাশ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার কৈলাটি ইউনিয়নের সনুড়া গ্রামের পাশে পিলোয়ার বিল থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শিশুটির নাম মো. সালমান হক (৭)। সে সনুড়া গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে। সালমান কৈলাটি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল। আর আটক হওয়া নারীর নাম তানিয়া আক্তার (২৫)। তিনি একই গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শিশু সালমান হক বুধবার বিকেলে বাড়ির সামনে খেলছিল। হঠাৎ সে নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তার সন্ধান পাননি। আজ সকালে গ্রামের এক ব্যক্তি পিলোয়ার বিলে মাছ ধরতে যান। ওই ব্যক্তি বিলের পানিতে এক শিশুর লাশ ভাসতে দেখেন। খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের লোকজন গিয়ে সালমানের লাশ শনাক্ত করেন।
শিশুটির বাবা আয়নাল হকের দাবি, তানিয়ার সঙ্গে তাঁদের বিরোধ চলছিল। বিরোধের জের ধরে তানিয়া সালমানকে মেরে ফেলেছেন।
তবে আটক হওয়া তানিয়া পুলিশি হেফাজতে থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান জুয়েল বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে শিশুটিকে হত্যা করে বিলে ফেলে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তানিয়া আক্তার নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। সালমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য জানা যাবে।