ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টা মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেয়ে গত রবিবার রাতে মামলাটি নথিভুক্ত করে নান্দাইল থানা।
স্থানীয় সূত্র ও মামলার আরজি থেকে জানা যায়, অভিযুক্ত উপজেলার ৫ নম্বর গাঙাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান। নিজ বাড়ির পাশে সুরাশ্রম গ্রামের মো. রইছ উদ্দিনের ছেলে কৃষক মো. ওমর ফারুক মামলার বাদী। জানা যায়, ওমর ফারুকের সাথে প্রায় ২ একর জমির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান খোকনের। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও হামলার ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ আদালতে একটি মামলা রয়েছে। গত ৫ আগস্ট সকালে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে হাল চাষ করতে যান ওমর ফারুকের লোকজন। এতে বাধা দেন চেয়ারম্যানসহ তার লোকজন।
একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওমর ফারুকে লোকজনের ওপর হামলা চালিয়ে প্রায় ১০ জনকে আহত করা হয়। এ সময় গুরুতর আহতদের নান্দাইল, ময়মনসিংহ ও পরে ঢাকার পঙ্গুসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার মধ্যে মাসুদ মিয়া (২৮) ও মিজানুর রহমানের (৩৫) অবস্থা গুরুতর। এ ঘটনার পর আহতের পরিবার বিচার চেয়ে ময়মনসিংহ আদালতে ইউপি চেয়ারম্যানকে প্রধান অভিযুক্ত করে মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার নালিশি আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম আমলে নিয়ে গত ১৮ আগস্ট নান্দাইল থানাকে নালিশি আবেদনটি এফআইআরভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় ওসি নান্দাইল মামলাটি নথিভুক্ত করেন।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আজ মঙ্গলবার নান্দাইল সদর হাসপাতালে করোনার টিকা দিতে এসে বলেন, ওই জমির সকল কাগজপত্র আমার। অবৈধভাবে তারা দখলে নিতে চায়। তাছাড়া আমি তো ২০১৪ সালে স্ট্রোক করেছিলাম। তখন থেকেই ডান সাইড আংশিক অচল। ঠিকমতো কথাও বলতে পারি না। আমি কীভাবে হামলায় জড়িত। এটা একটা মিথ্যা মামলা।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক মো. মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, আসামিদের খোঁজা হচ্ছে। পেলেই গ্রেপ্তার করা হবে।