অবশেষে যমুনার দুই পাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান হচ্ছে। জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার জামথল থেকে বগুড়ার সারিয়াকান্দি খেয়াঘাট রুটে যমুনা নদীতে ফেরি চলাচল শুরু হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী উদ্বোধনের পর শুরু হবে এ ফেরি সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। এই নৌপথে ফেরিতে আপাতত মানুষ পারাপার হবে। রাস্তাঘাট হওয়ার পর ধীরে ধীরে ভারী যানবাহনও চলাচল করবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত জামালপুরের মাদারগঞ্জ এবং বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার লাখও মানুষ।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যমুনার একপাড়ে মাদারগঞ্জ, দেওয়ানগঞ্জ ও কাজলাঘাট এবং অন্য পাড়ে বগুড়ার সারিয়াকান্দি, কালীতলা ও মথুরাপাড়া নৌঘাট দিয়ে নৌকায় ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারও মানুষ যাতায়াত করে। ফেরি চালু হলে মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির সমাপ্তি ঘটবে, উন্নত হবে মানুষের জীবন জীবিকার মান।
ময়মনসিংহ জেলা হয়ে ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব কমবে ৯০ কিলোমিটার। কমবে যমুনা সেতুর ওপর চাপ। যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে সাশ্রয়। বেড়ে যাবে ব্যবসা-বাণিজ্য। বিভিন্ন ধরনের কৃষি সরঞ্জাম, হালকা যন্ত্রাংশসহ যাত্রী পারাপারে কমবে খরচ।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, ‘জামালপুর মাদারগঞ্জ থেকে জামথল পর্যন্ত এলজিইডির ১২ ফুট সড়ক ২৪ ফুটে উন্নীত করতে সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে। দুপাড়ের মানুষের দুঃখ-দুর্দশার দিন কেটে যাবে ফেরি সংযোগের সঙ্গে সঙ্গে। উন্নয়ন ঘটবে মানুষের আর্থসামাজিক।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ফেরি সার্ভিসের উদ্বোধন করা হবে। এ ফেরি চলাচলে মানুষজন সহজে এবং কম খরচে ও কম সময়ে তাদের যাতায়াতসহ পণ্য পরিবহন করতে পারবেন। এতে এ এলাকার অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে।’