শেরপুরে আজ (৭ আগস্ট) থেকে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) গণটিকাদান কর্মসূচি। এ কর্মসূচির আওতায় একদিনের গণটিকা কর্মসূচিতে টিকা পাবেন ৩৩ হাজার ৬শ মানুষ। টিকাদান চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে জেলার ৪টি পৌরসভা ও ৫২টি ইউনিয়নে ১৮ বছরের উর্ধ্বের প্রায় এক লক্ষ মানুষকে ৩ দিনে গণটিকার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত হলেও নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শনিবার ২৫ বছর বয়সী বা তদুর্ধ্বদের সীমিত আকারে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের সাবেক ১ নম্বর ওয়ার্ডের যেকোন স্থানে একটি করে কেন্দ্র ও ৩টি করে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল ফোন নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক রেজিস্ট্রেশন করে টিকা দেওয়া হচ্ছে জনসাধারণকে।
এদিকে নকলা ও শ্রীবরদী পৌরসভায় নিজস্ব স্বাস্থ্যকর্মী না থাকায় সদর ইউনিয়ন থেকে টিকা নিতে পারবেন স্থানীয়রা। আর শেরপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ৯টি কেন্দ্রে ২শ করে মোট ১ হাজার ৮শ টিকা প্রদান করা হবে এবং নালিতাবাড়ী পৌরসভায় ৩টি কেন্দ্রে ৬শ টিকা প্রদান করা হবে। এছাড়া ৫২টি ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রের ৩টি বুথে মোট ৬শ টিকা প্রদান করা হবে।
শেরপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, শেরপুর পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে একটি করে কেন্দ্রে একটি করে বুথ বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে নবীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভা ভবন অফিস, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে শেখহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে অষ্টমীতলা শেরপুর মেমোরিয়াল হাই স্কুল, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সূর্যের হাসি ক্লিনিকে, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে কসবা মোল্লাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে সজবরখিলা এসএম মডেল স্কুল, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দমদমা কালিগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দিঘারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (বালক) কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। প্রতি ওয়ার্ডে ২শ করে টিকা প্রদান করা হবে বলেও জানা যায়। এক্ষেত্রে বয়স্ক ও নারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ বলেন, গণটিকাদান কর্মসূচি সফল করতে প্রচারাভিযান পরিচালনাসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রথমে ১৮ বছর বয়সী বা তদুর্ধ্বদের টিকাদানের সিদ্ধান্ত থাকলেও নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ জেলায় ৪টি পৌরসভা, ৫২টি ইউনিয়নে সর্বনিম্ন ২৫ বছর বয়সী বা তদুর্ধ্ব ৩৩ হাজার ৬শ মানুষকে গণটিকা দেওয়া হবে। টিকাদানের প্রতিটি বুথে ২ জন টিকাদানকর্মী ও ৩ জন করে স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবেন। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে।