ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ টিকাদানকেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতার তর্কাতর্কির ঘটনায় করোনার টিকাদান কর্মসূচি প্রায় আড়াই ঘণ্টা স্থগিত রাখা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ টিকাদান বন্ধ হয়ে পড়ায় লাইনে অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিরা দুর্ভোগে পড়েন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ১০টার দিকে ৩ নম্বর বুথে মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের এক নেতা তাঁর বোনকে টিকা দিতে নিয়ে যান। এ সময় নারীদের বুথের দায়িত্বে থাকা রেড ক্রিসেন্টের এক স্বেচ্ছাসেবক ছাত্রলীগ নেতাকে বাইরে অপেক্ষা করতে বললে তাঁদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ওই নারী স্বেচ্ছাসেবককে গালিগালাজ করেন ছাত্রলীগ নেতা। এ ঘটনার জেরে স্বেচ্ছাসেবকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে টিকাদান কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রাখেন।
যুব রেড ক্রিসেন্টের ইউনিট লিডার নাজমুল হক সরকার জানান, সকালে তাঁর ইউনিটের এক নারী স্বেচ্ছাসেবকের সঙ্গে ছাত্রলীগের মেডিকেল কলেজ শাখার সহসভাপতি এ কে শাকিল দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ করেন। এ ঘটনার জেরে টিকাকেন্দ্রের আটটি বুথের সব স্বেচ্ছাসেবক টিকাদান কার্যক্রম স্থগিত রাখেন। শাকিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক।
অভিযোগের বিষয়ে এ কে শাকিল বলেন, তিনি বোনকে নিয়ে বুথের সামনে গেলে সরে যেতে বলা হয়। তিনি ইন্টার্ন চিকিৎসক এমন পরিচয় দেওয়ার পরেও সরে যেতে বললে তর্কাতর্কি হয়। তবে তিনি দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ করেননি।
হঠাৎ টিকাদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় টিকা নিতে আসা ব্যক্তিরা দুর্ভোগে পড়েন। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন এবং বিষয়টির সুরাহা না হওয়ায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। হানিফ মাহমুদ নামের এক যুবক জানান, অনেকক্ষণ ধরে অপেক্ষা করলেও কর্তৃপক্ষ কোনো জবাব দেয়নি।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি অনুপম সাহা বলেন, তিনি খবর পেয়ে তিনি টিকাদান কেন্দ্রে যান। তুচ্ছ বিষয়ে উভয় পক্ষের তর্কাতর্কির জেরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করলে পরে আবার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়।
ময়মনসিংহ নগরীতে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে সিটি করপোরেশন। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সংস্থাটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এইচ কে দেবনাথের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।