অন্য এক ঘটনা তদন্তে যায় তিন পুলিশ। আর তাদের দেখে মোটরসাইকেল থেকে নেমেই দৌড় দেয় এক ব্যক্তি। পেছনে ধাওয়ার সময় পুকুরে ঝাপ দিয়ে শেষ রক্ষার চেষ্টাকালে প্রায় আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর পুকুরে নেমেই হাতকড়া পড়িয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে এক সহ দারোগার কাছে থাকা সাজাপ্রাপ্ত আসামির ছবি দেখে সনাক্ত হয় এই ব্যক্তিই ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিন (৪২)।
আজ সোমবার বিকেলে এ ধরনের ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার সিংরইল ইউনিয়নের হরিপুর আলাবক্সপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গ্রামের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে মো. জসিম উদ্দিন। তিনি চাকরি করার নামে ঢাকায় অবস্থান করতেন বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় গত বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি বাড়িতে এসে অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। এলাকার লোকজন জানান, জসিম প্রায় সময়ই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘুরাফেরা করতো। তাই তার সাথে কেউ অযথা কোনো ধরনের কথাবার্তা বলতো না। পান থেকে চুন খসলেই প্রতিবেশীদের সাথে বিবাধে লিপ্ত থাকতো। এর মধ্যে সম্প্রতি থানা পুলিশ তাকে খোঁজ করায় কিছুটা গা ঢাকা দেয় এবং এলাকায় আলোচনা চলে। রাতে বাড়িতে অবস্থান না করলেও দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গায় তাকে সরব দেখা যেতো। ঈদের পর থেকে নিয়মিত দৃশ্যমান ছিল এলাকায়।
সোমবার নান্দাইল থানার তিন সহদারোগা মো. রুস্তম আলী, আলমগীর হোসেন ও মো. সাইফুল ইসলাম একটি তদন্তের জন্য সিংরুইল ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে যান। সহদারোগা রুস্তম আলী জানান, নিজেদের বাইক যোগে গ্রামের সড়ক পথ দিয়ে যাওয়ার সময় লক্ষ করেন মোটরবাইক আরোহী এক ব্যক্তি তাদের দেখে বাইক থেকে নেমে ছটকে পড়ার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় নিজেরাও কিছুটা প্রস্তুত হয়ে কাছে যেতেই দৌড় দেয়। এ সময় তারাও দৌড়ে ধরার চেষ্টা করলে ওই ব্যক্তি পাশের একটি পুকুরে ঝাপ দেয়। এক পর্যায়েই পুকুরের পানির মধ্য থেকেই বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেয় না ধরার জন্য। পরে প্রায় আধ ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে পুকুরে নেমে হাতকড়া পড়িয়ে ওপরে নিয়ে আসে।
জানা যায়, আটককৃত ব্যক্তিই হচ্ছে জসিম উদ্দিন। তার নামে গত ২০০৫ সালের ২৫ জানুয়ারি অবৈধ অস্ত্র মামলায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। এ ছাড়াও সম্প্রতি ঢাকার দক্ষিণখান থানার ২০১৪ সালের আরেকটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।