জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকায় সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পাঁচ তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উপজেলার একটি পিকনিক স্পটের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে লাউচাপড়া পিকনিক স্পটে নিয়ে যান ওই তরুণ। লকডাউনের কারণে পিকনিক স্পটটি বন্ধ রয়েছে। তাঁরা লুকিয়ে অন্য স্থান দিয়ে স্পটের পাশের পাহাড়ে ওঠেন। ওই তরুণের সঙ্গে তাঁর আরও চার বন্ধুও ছিলেন। পরে ওই পাহাড়ে পালাক্রমে তাঁরা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন।
ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় দুজন ঘটনাস্থলে যান। পরে তাঁরা ওই যুবকদের আটক করে টাকা দাবি করেন। আরও লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেন। এ সময় ওই তরুণদের দলের দুজন পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচজনকে আটক করে।
বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, ওই স্কুলছাত্রীকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ওই পিকনিক স্পটে আনা হয়েছিল। পরে পালাক্রমে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে সেখান থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আটক তরুণেরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। স্কুলছাত্রীর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।