শেরপুরে নিজ বাসার দোতলার ছাদ থেকে পড়ে হোসনে আরা বেগম রিতা (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে শহরের নয়ানীবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিতা স্থানীয় আনিছুর রহমান তালুকদারের স্ত্রী ও চার মেয়ে সন্তানের জননী।
এদিকে রিতার স্বজনরা দাবি করছেন, স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় রিতাকে পরিকল্পিতভাবে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে নিজ বাসার দোতলার ছাদ থেকে বাড়ির সামনের রাস্তায় পড়ে গুরুতর আহত হন রিতা। ওই সময় নিচে থাকা ব্যবসায়ী তাপস সাহার ওপর পড়েন তিনি। পরে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শেরপুর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরে মারা যান।
হাসপাতালের আরএমও ডা. মোবারক হোসেন বলেন, হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই মারা গেছেন রিতা।
এদিকে রিতার বড় ভাই হেলাল উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, আনিসের অন্য জায়গায় পরকীয়া সম্পর্ক থাকায় দীর্ঘদিন থেকেই তিনি আমার বোনকে মারধর ও যন্ত্রণা করে আসছিলেন। এটা নিয়ে বেশ কয়েকবার বিচার-সালিশও হয়েছে। আনিসই আমার বোনকে ধাক্কা দিয়ে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করতে পারে।
এ ব্যাপারে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বন্দে আলী মিয়া বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলার প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
রিতার স্বজনদের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আগেই কিছু বলা যাচ্ছে না, তদন্তে প্রকৃত বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।