সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে নেত্রকোনা থেকে ‘জরুরি সংবাদপত্র’ সরবরাহকারী একটি বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাওয়ার পথে ময়মনসিংহ চেকপোস্টে আটক করা হয়েছে। গাড়িটিতে ১৬ জন যাত্রী ছিলেন।
রোববার (২৫ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর পাটগোদাম ব্রিজ মোড়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন চেকপোস্টে বাসটি আটকানো হয়।
এ সময় বাসে থাকা ১৬ জনের অনেককে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। এ অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ছবি তুলতে চাইলে বাধা দেন বেশ কয়েকজন। পরে পরিচয় জানতে চাইলে বেশ কয়েকজন তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তবে বাসের যাত্রীরা নেত্রকোনা জেলার বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন।
ঢাকার একটি ব্যাংকে চাকরি করেন রায়হান আহমেদ। তিনি ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন। এখন কাজে যোগ দিতে ঢাকায় যাচ্ছেন। রায়হান বলেন, ‘দেশের সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও ব্যাংক সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খোলা। তাই বাধ্য হয়েই ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় যাচ্ছি।’
ঢাকার একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা খন্দকার আমিরুল হুদা বলেন, ‘চাকরির প্রয়োজনেই ঢাকা যাচ্ছি।’
আরেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। বাসচালককে অনুরোধ করে আমরা সবাই নিয়ে যাচ্ছিলাম। যদি আমাদের যেতে দেয়, তাহলে আমাদের উপকার হয়।’
রাজশাহীর একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন নিয়ামুল কবির। তিনি বলেন, ‘চাকরি বাঁচাতেই কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে বাড়ি থেকে বের হয়েছি।’
যাত্রী বহনের বিষয়ে ‘জরুরি সংবাদপত্র’ সরবরাহকারী বাসের চালক রাজু মিয়া বলেন, ‘সকালে পত্রিকা নিয়ে ঢাকা থেকে নেত্রকোনায় এসেছি। যাওয়ার সময় সরকারি চাকরিজীবী পরিচয় দিয়ে তারা কোনো সমস্যা হবে না বলে বাসে ওঠেন। এখন তো আমাকেই জেল-জরিমানা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাসে ১১ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ১৬ জন যাত্রী উঠেছেন।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও কঠোর বিধিনিষেধ অমান্য করে গাড়ি চালানোর জন্য চালকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’