শেরপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৪৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৯৯১ জন।
রোববার (২৫ জুলাই) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে শেরপুর সদরে ৬৮ জন, নালিতাবাড়ীতে ২৯ জন, নকলায় ১৫ জন, শ্রীবরদীতে ১১ জন ও ঝিনাইগাতীতে ২৩ জন রয়েছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরটিপিসিআর ল্যাব ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে মোট ৪৬০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এরমধ্যে ১৪৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৭৩ শতাংশ।
এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ ১ হাজার ২৩৮ জন ও দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন ৩৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট টিকা গ্রহণ করেছেন ৬৫ হাজার ৮৫৬ জন।
এদিকে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্রতিদিনই ভর্তি রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ৪৫ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৫৭ জন ভর্তি রয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, শেরপুরে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বর্তমানে সামাজিক সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। করোনার ভয়াবহতা নিয়ে সাধারণ মানুষের উদাসীনতার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। করোনার নিয়ন্ত্রণ ও বিস্তার রোধে মাস্ক ব্যবহারসহ সঠিকভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা পালন করতে হবে। তা নাহলে সামনের দিনগুলোয় ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় শেরপুর স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়মিত কাজ করছে।
রোববার পর্যন্ত মোট শনাক্তের মধ্যে শেরপুর সদরে ১ হাজার ৯০৯ জন, নকলায় ২৯৯ জন, নালিতাবাড়ীতে ৩২৮ জন, ঝিনাইগাতীতে ১৮৬ জন ও শ্রীবরদীতে ২৬৯ জন রয়েছেন। একইসময়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭ জন। আর জেলায় করোনায় ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুই নারীর করোনা শনাক্ত হয়। এরমধ্যে এটিই একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ জনে।