1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ

বেড়েছে মদনের কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ১৭ জুলাই, ২০২১

ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে তত বাড়ছে নেত্রকোনার মদন উপজেলার কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা। পশু কোরবানিতে ব্যবহৃত ধারালো দা, বটি, চাপাতি ও ছুরি তৈরিতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কামাররা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও ঈদুল আযহা এলেই ভিড় জমে কামারপট্টিতে। করোনা মহামারির লকডাউনে কয়লা ও শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। তবে ক্রেতাদের মতে ঈদে এসব যন্ত্রপাতির চাহিদা বেশী থাকায় বাধ্য হয়েই চড়া দামে কিনতে হচ্ছে।

উপজেলার দেওয়ান বাজার, মদন বাজার, নতুন বাজার, কাইটাইল বাজার, ফতেপুর বাজার ও কামার পাড়া ঘুরে দেখা যায়, লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামার পল্লী/দোকানগুলো। টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদুল আযহার আর মাত্র কয়েকদিন বাকি আছে, তাই কামার পল্লীগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে এক মাস আগে থেকেই কাজ শুরু হয়েছে।

কামার শিল্পীরা জানান, পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, দা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, বটি ২৫০ থেকে ৫০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৩০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পশু জবাইয়ের সরঞ্জামাদি কিনতেও ভিড় করছেন গ্রাহকরা। কামারদের অভিযোগ, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম ও শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ও ছুরির দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে।

কামার শিল্পীদের কাছে বটি ক্রয় করতে আসা আলী আহম্মদ, নূর হোসেন জানান, কোরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শাণ দিয়ে নিচ্ছি, নিজেরাই কাজে লেগে যাব। গেল বছরের চেয়ে এ বছর পুরনো জিনিস শাণ দিতে মানভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।

কামার ভুবন, গোপাল বর্মণ দেবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে ঈদের দুদিন আগে থেকে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টা বেচাকেনা হবে। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা ও শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি টিন কয়লার দাম ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি ও দায়ের দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।

তারা আরো বলেন, কাজের ব্যস্থতায় নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। পুরোদমে আগামী ২০ জুলাই ঈদুল আজহা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন বলে তারা জানান। ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রসার ঘটায় ক্রমে বিলুপ্তির পথে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী কামার শিল্প।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি