ময়মনসিংহের ভালুকায় এক কারখানার মালিককে কুপিয়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কারখানা মালিকের ছেলে বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যাচেষ্টাসহ আরও কয়েকটি ধারায় ভালুকা মডেল থানায় মামলাটি করেন। এর আগে এ ঘটনায় আটক পাঁচজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে দুজনকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্য নয়জনের বাড়ি ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাঁরা হলেন জসিম উদ্দিন পাঠান (৫৫), রুহুল আমিন পাঠান (৪০), ইকবাল পাঠান (৩৮), শিরীন আক্তার (৪০), নাজিম উদ্দিন পাঠান (৫০), মমিনুল ইসলাম (৩৫), মাসুম মোল্লাহ (৫০), রফিকুল ইসলাম মুন্সী (৫৫) ও মিজানুর রহমান পাঠান (৪৫)। আরেকজন আসামি রণজিৎ শীলের (৩৫) বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সুসং দুর্গাপুর গ্রামে। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম ও মমিনুল ইসলামকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ আদালতে পাঠানো হয়।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধামশুর মৌজার ধোবাজানের খাল ভরাট ও স্থানীয় জসিম উদ্দিন পাঠান গংয়ের সঙ্গে কাঁঠালী গ্রামের আর্টি কম্পোজিট ডায়িং কারখানার মালিক আবদুর রাজ্জাকের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে আদালতে দুই পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে খাল ভরাট করে কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশনের পাইপলাইন স্থাপনের কাজ করছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। এতে কয়েকজন ব্যক্তি বাধা দেন।
একপর্যায়ে স্থানীয় জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে রুহুল আমিন, ইকবালসহ আরও কয়েকজন আবদুর রাজ্জাকের ওপর হামলা করেন। ওই সময় জসিম পাঠানের দায়ের কোপে আবদুর রাজ্জাকের এক পা বিচ্ছিন্ন এবং অপর পা ঝুলতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তির পর তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।
মামলার বাদী আবদুর রাজ্জাকের ছেলে তৌফিকুর রাজ্জাক বলেন, তাঁর বাবার ঝুলে থাকা সেই পা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার রফিকুল ইসলাম ও মমিনুল ইসলামকে ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু আদালতে আজ তাঁদের শুনানি হয়নি। আগামী রোববার তাঁদের রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত।