করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধি-নিষেধ শিথিলের পর নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় বৃহস্পতিবার থেকে কোরবানির পশুর হাট বসছে। এমন পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরা কার্যক্রম তদারকি এবং অনুমোদনহীন পশুর হাটের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছেন স্থানীয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.খবিরুল আহসান। আজ দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার মাস্কা ও রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নে এ অভিযান পরিচালনা করেন তিনি।
অভিযানের অংশ হিসেবে তিনি প্রথমে উপজেলার মাস্কা বাজারের কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শনে যান। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.খবিরুল আহসান ওই হাট ঘুরে দেখার পাশাপাশি বাজার-সংশ্লিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তি ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এছাড়াও পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাজার পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। অন্যতায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করে দেওয়া হয়। এরপর প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কোরাবানির পশুর হাটের আয়োজন করার খবর পেয়ে তিনি ছুটে যান উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের রোয়াইলবাড়ি বাজারে। সেখানে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে পশুর ওই অবৈধ হাটের আয়োজন বন্ধ করে দেওয়া হয়।
মো.খবিরুল আহসান জানান, কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরানো নিশ্চিত করার পাশাপাশি অনুমোদনহীন কোরবানির পশুর হাটের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, চলমান বিধি-নিষেধের পর কোরাবানির প্রথম পশুর হাটের আয়োজন উপলক্ষে উপজেলার মাস্কা বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাস্ক পরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি তাদের মাঝে বিনামূল্যে মাস্কও বিতরণ করা হয়। মাস্কা বাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা-সংক্রান্ত জনসচেতনতামুলক এ কাজে সহায়তা করেন মাস্কা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জহুরুল আলম ভূঁইয়া স্বপন, আবদুস সালাম বাঙালী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী বকুল, স্কুলশিক্ষক হেলালউদ্দিন ও ইজারাদার ইকবাল খন্দকার প্রমুখ।