কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার দক্ষিণ লোহাজুরী এলাকায় সাদিয়া আক্তার টুনি বৃষ্টি (৯) নামের এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা মামলার আসামি নজরুল ইসলাম (৩৫) নিজের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) কিশোরগঞ্জ ফৌ.কা.বি. ১৬৪ ধারার বিচারক সাদ্দাম হোসেনের কাছে জবানবন্দি দেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামি নজরুল ইসলাম দক্ষিণ লোহাজুরীর ছমর উদ্দিনের ছেলে। এর আগে ভোরে ঢাকার আশুলিয়া থানার বাড়ইপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টগেশন) কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, ২ জুলাই আসামি নজরুল পাটক্ষেতের কাছে বৃষ্টিকে দেখতে পেয়ে ধর্ষণের জন্য জড়িয়ে ধরে। তখন ভিকটিম এই কথা তার মা-বাবার কাছে বলে দিবে বলে জানায়। পরে আসামি তাকে অপহরণ করে পাটক্ষেতের ভিতরে নিয়ে ধর্ষণ করে। নজরুল ধর্ষণের পর হত্যা করে পাটক্ষেত (ঘটনাস্থল) থেকে বের হয়ে বাড়িতে চলে যায়। এরপর আসামি স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে থাকে। পরে গা ঢাকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পলাতক থেকে সর্বশেষ ঢাকার আশুলিয়া অবস্থান করে। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
জানা যায়, ঘটনার দিন মো. চুন্নু মিয়া মেয়ে বৃষ্টিকে খোঁজ করে আশেপাশের বাড়িতে না পেয়ে আরো লোকজন নিয়ে নদীর ধারে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে পাটক্ষেতে বাদীর স্ত্রী, চাচাতো শালি, চাচাতো শ্যালক সাদিয়া আক্তার টুনি বৃষ্টিকে দেখতে পান। পরে চিৎকার দিলে বাদীসহ আশেপাশের লোকজন সেখানে গিয়ে বৃষ্টির মৃতদেহ দেখতে পান।
এই ঘটনায় কটিয়াদী থানায় ২ জুলাই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা হয়। এরপর পিবিআই কিশোরগঞ্জ জেলার ক্রাইমসিন ইউনিট হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ছায়া তদন্ত শুরু করে। ধর্ষণ করে হত্যা মামলাটি পিবিআই সিডিউলভূক্ত হওয়ায় পিবিআই ১১ জুলাই মামলাটি পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সাখরুল হক খানের ওপর তদন্তভার দেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বস্থ সোর্স নিয়োগ করে সন্দিগ্ধ আসামি নজরুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেন।