করোনার বিধিনিষেধের ঘেরাকলে পড়ে কোরবানির গরু বিভিন্ন হাটে নিয়ে ভয়ভীতির মধ্যে থেকে বিক্রি না করে বাড়ি নিয়ে আসছেন অনেক মালিক। এ অবস্থায় ময়মনসিংহের নান্দাইলের অনেক গরুর মালিক নিজেদের উপযুক্ত কোরবানির গরু হাটে না নিয়ে বাড়ির সামনেই সারি সারি বেঁধে রেখেছেন বিক্রির জন্য। আজ শনিবার এ ধরনের দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার বাশঁহাটি গ্রামে।
জানা যায়, গ্রামের আশপাশে রয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রায়ের বাজার ছাড়াও নান্দাইল সদর ও বাঁশহাটি বাজার। গত প্রায় পনেরোদিন ধরে গ্রামের কৃষক ও খামারির মালিকরা নিজেদের লালন করা গরুগুলি বাজারে নেওয়ার পর করোনাকালে প্রশাসনের বিভিন্ন সময় আইনি অভিযানে জেল জরিমানার কারণে এক ধরনের ভীতিকর অবস্থায় থাকতে হচ্ছে। হাটও ভালোভাবে জমছে না। ক্রেতাদের উপস্থিতিও কম। এ অবস্থায় উপযুক্ত দাম না পেয়ে বাধ্য হয়েই বাড়িতে নিয়ে আসেন।
বাঁশহাটি গ্রামের মোসলেম উদ্দিন জানান, তিনি তার গরু নিয়ে স্থানীয় হাটগুলিতে গিয়ে ঘুরে এসেছেন। এক বাজারে গিয়ে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়েই দ্রুত কেটে পড়েছেন। এরপর থেকে গরু নিয়ে আর কোনো হাটে যাচ্ছেন না। এই জন্য নিজের দুটি গরু নিয়ে বাড়ির সামনে সড়কের পাশেই খোলা জায়গায় বিক্রির জন্য বেঁধে রেখেছেন। এ অবস্থায় দামদরও হচ্ছে। আশা করা যায় বিক্রি হবে। তাছাড়া বাড়িতে থেকে অন্য কাজকর্ম করেও সময় দেওয়া যায়।
আজিজুল ইসলাম নামে এক কৃষক জানান, তিনি প্রতিবছর গরু লালন-পালন করে কোরবানির জন্য বিক্রি করে ভালো লাভবান হন। কিন্তু এইবার করোনার জন্য হাটগুলি জমজমাট না হওয়ায় ভালো ক্রেতা না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন।
নান্দাইল উপজেলা সদরের আব্দুল হাই নামে এক ক্রেতা জানান, তিনি জানতে পেরেছেন ওই এলাকায় কোরবানি দেওয়ার মতো অনেক গরু আছে। এই সব গরু বিক্রির জন্য বিক্রেতারা প্রস্তুত রয়েছেন। এ খবরে ওই এলাকায় গিয়ে তিনি ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু ক্রয় করেছেন। এ অবস্থায় বাড়তি কোনো ধরনের ঝাট্টি-ঝামেলাও নেই।