১৪ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। আগামীকাল রবিবার ব্রাজিলের ঐতিহাসিক মারাকানা স্টেডিয়ামে কোপা আমেরিকার শিরোপা লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই ফুটবল পরাশক্তি। ফাইনাল এমনিতেই রোমাঞ্চকর, তার মধ্যে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দ্বৈরথ, নেইমার-মেসির শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই। সব মিলিয়ে উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের পারদ বেড়ে অসীম পর্যায়ে উঠেছে। শুধু লাতিন আমেরিকা নয়, উত্তেজনার পারদে ফুটছে পুরো ফুটবল বিশ্ব।
উত্তেজনার ছোঁয়া লেগেছে ১৫ হাজার ৯১৫ কিলোমিটার দূরের বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়ও। কোপা আমেরিকার এবারের আসরের শুরু থেকে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জুড়ে। হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। গত ৬ জুলাই পাল্টাপাল্টি হামলায় উভয় পক্ষের অন্তত চারজনের আহত হওয়ার খবর মিডিয়ায় এসেছে।
এমন পরিস্থিতিতে জনপ্রিয় এই দুই দলের ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে জেলায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। সংঘাত এড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচারণা শুরু হয়েছে। জেলা শহর ও উপজেলায় অটোরিকশা, সিএনজি ও পিকআপ যোগে মাইকিং করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন জানান, এই খেলা নিয়ে এরইমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই (জেলা পুলিশ থেকে অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থার নেয়া হচ্ছে। খেলা যেন খোলা জায়গায় বড় স্ক্রিনে, কোনো ক্লাবে বা চায়ের দোকানে দেখার আয়োজন না করা হয়, তা আমরা মাইকিং করে জানিয়ে দিচ্ছি। ফাইনাল খেলার দিন ভোর ৫টা থেকে মাঠে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। এছাড়া জেলার ১১৬টি বিটে চারজন করে কাজ করবে। পাশাপাশি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আমরা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। খেলা শেষ হওয়ার পর কোনো অবস্থাতেই বিজয় মিছিল করা যাবে না।
ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে যারা ঝামেলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, তাদের কোনো রকম ছাড় না দেওয়ার কথা বলেছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ফাইনাল খেলায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে আমাদের কাছে এই রকম আগাম তথ্য রয়েছে। এ সংঘর্ষের ঘটনা এড়াতে আমরা ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন আরো জানান, কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে, সে জন্য জেলায় বিট পুলিশিংয়ের ১১৬টি টিম মাঠে কাজ করছে। পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরও সহযোগিতা চেয়েছে পুলিশ।