ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম মনিকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া আজ আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরা হলেন- কামরুজ্জামান, জুয়েল, রানা দে ও শরীফ। এদের সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ হামলার জন্য আজ সকাল ৯টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
এ ব্যাপারে দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম মনি হাসপাতালের নম্বরে ফোন দেন। মনি তার বাসায় গিয়ে তার মায়ের করোনা উপসর্গের নমুনা আনার জন্য বলেন। এ সময় হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ডিউটি করছিলেন ডা. এ এইচ এম সালেহীন মামুন। ডা. মামুন জানান, এখন বাসায় গিয়ে নমুনা আনার নিয়ম নেই। তিনি যেন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ কথা বলার কিছুক্ষণ পর যুবলীগ নেতা মনি তার দলবল নিয়ে হাসপাতালে যান। একপর্যায়ে তারা চিকিৎসক ডা. মামুনকে মারধর করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে চিকিৎসকদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। রাতে এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ রাতেই উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মনিকে গ্রেপ্তার করে।
মুক্তাগাছা থানার ওসি দুলাল আকন্দ বলেন, প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।