কভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এই বিধিনিষেধকে পাশ কাটিয়ে একটি মহল সোমবার নৈহাটীবাজারে গরুর হাট বসায়। লোক সমাগমের ভয়ে এলাকার জনগোষ্ঠীর মাঝে দেখা দেয় উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কিন্তু সকল দুশ্চিন্তার অবসান ঘটালেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া উম্মুল বানিন। গরুর হাট ভেঙে দিলেন তিনি।
জানা যায়, নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার নৈহাটীবাজারে প্রতি সোমবার গরুর হাট বসে। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে দূর-দূরান্ত এলাকার হাজার হাজার মানুষ এখানে বেচা-কেনার জন্য জমায়েত হয়। কভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকার এর আগেও লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ জারি করেছে। ওই সময় নৈহাটী বাজারের গরুর হাট বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি।
উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া উম্মুল বানিন বলেন, পুলিশের ফোর্সসহ আমরা সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যেই বাজারে গিয়ে হাজির হই। ততক্ষণে কিছু লোক হাটে গরু নিয়ে জমায়েত হয়। দূর-দূরান্ত এলাকা থেকে বেশক’টি পিকআপে করেও গরু নিয়ে হাটে উপস্থিত হতে দেখা যায়। তাদের বুঝাই এবং চলে যেতে বলি। সবাই চলে যায়। এভাবে শান্তিপূর্ণভাবেই গরুর হাট ভেঙে দেওয়া সম্ভব হয়।
উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, লকডাউন বাস্তবায়নে প্রথম থেকেই উপজেলা সদর থেকে পল্লী অঞ্চলের হাট-বাজার ও জনসমাগমের স্থানসমূহে সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করে আসছে প্রশাসন। এ উপলক্ষে ৩২ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও ৭১ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করেছে মোবাইল কোর্ট। দোকান-পাট খোলা রাখা, অযথা ঘোরাফেরা করা প্রভৃতি কারণে এই শাস্তি প্রদান করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) পৃথকভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। তাদের সহযোগিতা করছেন সেনাবাহিনীর ৮ম বেঙ্গল রেজিমেন্ট’র ক্যাপ্টেন আলভি ও বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা।