1. najmush71@gmail.com : admin : Najmush Shakeer
  2. munir2002lubnan@gmail.com : Munirul Huq Khan : Munirul Huq Khan
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
আসছে নতুন বৃষ্টিবলয়, কৃষকদের জন্য জরুরি সতর্কবার্তা রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তনেও সঙ্গে থাকার বার্তা জাপানের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি ঢাকায় আসছেন ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন থেকে নামিয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি শেখ হাসিনার ছবিতে ‘হা হা রিঅ্যাক্ট’, ছাত্রদল কর্মীদের বেধড়ক পেটাল ছাত্রলীগ পাঁচ বিসিএসে নিয়োগ পাবে ১৮ হাজার ১৪৯ জন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বিষয়ে নির্দেশনা আদালত দেবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সিইসি ও চার কমিশনার শপথ নিলেন সেইলরের ব্র‍্যান্ড এম্বাসেডর হলেন তারকা জুটি সিয়াম আহমেদ ও বিদ্যা সিনহা মিম মন্ত্রীর বাড়ির সামনে বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলাম, যেন চাকরি চাইতে গিয়েছি: বাণিজ্য উপদেষ্টা

কঠোর বিধিনিষেধ বাড়ল আরও ৭ দিন

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১

করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে (১৪ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ সোমবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

এর আগে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ দেয় করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

দেশে করোনা সংক্রমণ ও এতে মৃত্যু উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকায় গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। ৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাতে তা শেষ হবে। এখন আরও এক সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধ বেড়ে ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত হলো।

করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা গতকাল রোববার বলেছেন, তাঁরা চান এই বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হোক। বিজ্ঞানসম্মতভাবে সেটাই করা উচিত। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সূত্রগুলোও রোববার বলেছে, চলমান এই বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে সরকার এ বছর প্রথমে ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ দিয়ে আসছে। দেশব্যাপী বিধিনিষেধের পাশাপাশি এবার স্থানীয় প্রশাসনও বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে। কিন্তু তারপরও করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সারা দেশে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।

চলমান বিধিনিষেধে সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিং মল, দোকানপাট এবং গণপরিবহন ছাড়াও যন্ত্রচালিত যানবাহন (জরুরি কাজে নিয়োজিত ছাড়া) চলাচল বন্ধ রয়েছে। সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র, জনসমাবেশ হয়—এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও বন্ধ। অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে মানা করেছে সরকার। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিনই অনেক মানুষকে গ্রেপ্তার ও জরিমানা করা হচ্ছে। এবার বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য টহলে নেমেছে সেনাবাহিনী।

তবে শিল্পকারখানাগুলো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা, করোনার টিকাদান, রাজস্ব আদায় কার্যাবলি, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, টেলিফোন, ইন্টারনেট, গণমাধ্যম (প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া), বেসরকারি নিরাপত্তাব্যবস্থা, ডাকসেবা, ব্যাংক, ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যালসহ অন্যান্য জরুরি বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র দেখিয়ে যাতায়াত করতে পারছেন। পণ্য পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কাভার্ড ভ্যান, কার্গো ভেসেল এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রয়েছে। বন্দরসমূহ (বিমান, সমুদ্র, নৌ, স্থল) ও সংশ্লিষ্ট অফিসগুলো এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রয়েছে।

চলমান বিধিনিষেধে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাবেচা করতে দেওয়া হচ্ছে। টিকা কার্ড দেখিয়ে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়াত করা যাচ্ছে। খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খাবার বিক্রি (অনলাইনে কেনা বা খাবার নিয়ে যাওয়া) করতে পারছে। তবে হোটেলে বসে খাওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বিধিনিষেধের সময় সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং সেবা চালু চলবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২৩ আঙ্গর টিভি