কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন। মাঠে রয়েছে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। মানুষকে ঘরের মধ্যে রাখতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিদিন পরিচালনা করা হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (৪ জুলাই) লকডাউনের চতুর্থ দিনও উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। এদিন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা প্রশাসন।
এ সময় স্বাস্থবিধি ও লকডাউনের বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২৩ জন ব্যক্তিকে মোট ২ হাজার ৫৫০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা। অভিযানে সহযোগিতা করেন ভৈরব থানা পুলিশ।
এছাড়া একই দিনে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা।
এসময় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকানপাট খোলা রাখা, মাস্ক পরিধান না করা, স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করা ও অকারণে বাইরে ঘোরাঘুরি করায় ২৯ জন ব্যক্তিকে মোট ৯ হাজার ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন এবং পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন তিঁনি। মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সহযোগিতা করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা বলেন, সারাদেশের ন্যায় ভৈরবেও করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই সবাইকে মাস্ক পরিধান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সচেতন থাকাসহ সরকারি নির্দেশনা মানার জন্য অনুরোধ করেন তিঁনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লুবনা ফারজানা জানান, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি লকডাউন বাস্তবায়ন করতে। সাধারণ মানুষকে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করছি।
অকারণে কেউ বাইরে ঘোরাঘুরি করলে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আমরা তাদের জরিমানা করছি। জনস্বার্থে আমাদের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।