কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড ইউনিটে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি রযেছে। রোববার (৪ জুলাই) বিকাল পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত ও সন্দেহজনক মোট ১১৬ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।
অন্যদিকে সেবা দিয়ে গিয়ে হাসপাতালটির চিকিৎসক-নার্সসহ মোট ৩০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন নার্স, ২ জন চিকিৎসক, ২ জন অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং একজন নমুনা সংগ্রহকারী টেকনেশিয়ান রয়েছেন।
এমন পরিস্থিতিতে জেলার করোনা চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর ভিড় লেগেই রয়েছে। রোববার (৪ জুলাই) নতুন ১১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন এবং ৯ জন ছাড়পত্র পেয়েছেন।
শনিবার (৩ জুলাই) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড খালি করে সেখানে রোগী ভর্তি শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এরপরও রোগীর চাপ কমছে না। রোগীর সংখ্যা আরো বাড়লে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে বলে চিকিৎসা সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এদিকে হাসপাতালের তিনজন অ্যাম্বুলেন্স চালকের মধ্যে দুইজন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হওয়ায় রোগী পরিবহনেও জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, এত সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কোভিড ওয়ার্ডের দায়িত্বে নিয়োজিত করতে হচ্ছে। কিন্তু, জনসাধারণ যদি সতর্ক না হয় এবং কোভিডের সংক্রমণ যদি এভাবেই অব্যাহত থাকে তাহলে যত প্রস্তুতিই নেওয়া হোক না কেন তা অপ্রতুল হতে বাধ্য।
শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এমন পরিস্থিতিতেও মানুষের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমরা সকলে মিলে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সকলে প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনারা অন্তত স্টাফদের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করুন, চিকিৎসার জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না। পরিস্থিতি বুঝার চেষ্টা করুন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন। পরিচ্ছন্ন মাস্ক পরুন।
তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসলে সাথে একজন সবল সহকর্মী নিয়ে আসুন। ভর্তির উদ্দেশ্যে আসলে অবশ্যই বাড়ি থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে আসুন। যেমন একটি চাদর, অতিরিক্ত একটি বালিস, প্লেট, মগ, গামছা, সাবান, শ্যাম্পু, সেনডেল জুতা, কিছু শুকনো খাবার, প্রয়োজনীয় পোশাক ইত্যাদি।