জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা সরঞ্জাম আছে। সাবেক এক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইউনিটটির উদ্বোধনও করেন। কিন্তু জনবল নিয়োগ দনা দেওয়ায় এটিসাড়ে পাঁচ বছরেও চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন এই ইউনিটটি তালাবদ্ধ। ফলে সবকিছু থাকার পরেওয় করোনায় আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের এখানে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে ন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাধারণ রোগীদের পাশাপাশি করোনা রোগীদের আইসিইউ সেবা জরুরি। শুধুমাত্র আইসিইউ না থাকার কারণেই সাধারণ ও করোনার রোগীদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হচ্ছে। ওই হাসপাতাল পৌঁছানোর আগেই পথে অনেক রোগীর মৃত্যুও হচ্ছে। বর্তমানে করোনা আক্রান্ত রোগীদের আইসিইউ সেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সদর হাসপাতালের মূল ভবনের দক্ষিণ পাশের তিনতলা একটি ভবনের দেয়ালে লেখা আইসিইউ। ভেতরে একটি কক্ষ এই ইউনিটের কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ। কক্ষটি বন্ধ রয়েছে। কক্ষের ভিতরে অন্ধকার। ভেতরে ঢোকার জন্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়েও অনুমতি পাওয়া যায়নি।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই কক্ষের ভেতর মোট চারটি শয্যা রয়েছে। তার মধ্যে দুটি আইসিইউ ও দুটি এইচডিইউ শয্যা। কক্ষটিতে সকল যন্ত্রপাতিও রয়েছে। যন্ত্রপাতিগুলো প্রতিটি শয্যার সঙ্গে লাগানো, কিন্তু উদ্বোধনের পর একদিনও চালু হয়নি।
জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন,‘জামালপুরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আইসিইউ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় উদ্বোধনের সাড়ে ৫ বছরেও সেটি চালু করা হয়নি। সাড়ে ৫ বছরেও জনবলের কারণেই এটা চালু হচ্ছে না-এটা যেমন সঠিক আবার সিদ্ধান্তহীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণও রয়েছে। ফলে আইসিইউ উদ্বোধনের পর থেকেই আইসিইউর কক্ষটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়ে গেছে। বিভিন্ন সময় হাসপাতালের সভায় ও মিটিংগুলোতে আইসিইউ চালুর আশ্বাস দেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ হাসপাতালে প্রায়ই মুমূর্ষু রোগী মারা যাচ্ছে। আইসিইউ চালু না হওয়ার কারণে গুরুতর রোগীদের ময়মনসিংহে স্থানান্তর করা হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি হাসপাতালের একটি কক্ষে নতুন আইসিইউর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। জনবলের না থাকায় ইউনিটটি চালু করা সম্ভব হয়নি। ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হলেও এখানে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ রোগি ভর্তি থাকে।