কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই মাঠে তৎপর রয়েছে প্রশাসন। দোকানপাট বন্ধ রাখা, গণপরিবহন ও জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন রয়েছে হার্ড লাইনে।
জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণে পৌর সদর বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালতও মাঠে রয়েছে। তারা লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছেন। কেউ নিয়ম না মানলেই তাদের শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
এর মাঝেও লকডাউন অমান্য করে লুকোচুরির মতো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা, রোগী সেজে চলাচল, মাস্ক ছাড়া বাইরে বের হওয়া, উপজেলার গ্রামীণ বাজার ও মহল্লায় দলবেঁধে নানা বয়সীদের আড্ডা লেগেই রয়েছে।
সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিন শনিবার (৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে মোট ৪ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) একেএম লুৎফর রহমান এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এর আগে সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ১৩ জনকে মোট ৪ হাজার ৬শ’ টাকা এবং দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২ জুলাই) ১৮ জনকে মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য জনসাধারণের মাঝে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
পাকুন্দিয়া থানার ওসি মো. সারোয়ার জাহান জানান, পাকুন্দিয়ায় সচেতনভাবেই গত তিনদিন ধরে মানুষ সর্বাত্মক লকডাউন পালন করছেন। উপজেলার মোট ৬টি পয়েন্টে লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ কাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) একেএম লুৎফর রহমান জানান, করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন এবং মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি আইন-শৃংখলা বাহিনীর সবগুলো ইউনিট মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের জন্য জনসাধারণের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে বলেও ইউএনও একেএম লুৎফর রহমান জানান।