পশুর হাটে গিজগিজ করছে পশু আর মানুষ। একজন আরেকজনের ঘা ঘেষে দাঁড়িয়েছে। কেউ দরদাম করছেন, কেউ পশু কিনে নির্ধারিত যানবাহনে উঠাচ্ছেন। অধিকাংশ লোকের মুখে মাস্ক নেই। কারো কারো মাস্ক থাকলেও হয় পকেটে, না হয় থুথনিতে। সামাজিক দুরত্বের নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে ঝুঁকি নিয়ে পশু কেনাবেচা চলছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর ও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার বেশ কয়েকটি বাজারে এ দৃশ্য দেখা গেছে।
গৌরীপুর উপজেলার মাওহা ইউনিয়নের ভুটিয়াকোনা বাজারের ইজারাদার হায়দার রশিদ জানান, আমরা কি করবো? পশুর হাটে অনেক লোক। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য মাইকে ঘোষণা দিলেও কেউ তা মানছে না। উপজেলায় যে কয়টি বাজার আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার এটি। বর্তমানে প্রতি হাটে প্রায় হাজার খানেক ছোট বড় গরু উঠে।
হাটে গরু বিক্রি করতে আসা আব্দুল করিম বলেন, ‘এই গরুডা না বেচতাল্যে সমস্যায় পড়বাম। আজগোয় না বেচতাললে অন্য হাটে নেওন লাগবো। বাজারে আইয়া দেহি করোনার বালাই নাই। মনে অয় করোনার হাট।’
গরু কিনতে আসছেন অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক হাছেন আলী। তিনি বলেন, এটা যে কঠোর লকডাউন তা বলা যাবে না। আগের মতেই চলছে। ব্যবসায়ীরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের কিছু বলছেন না।
গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মারুফ জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাটে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। হাটের মধ্যেই মাইকিং করে প্রচার করার কথা। অনিয়ম হয়ে থাকলে পরবর্তী হাটগুলোতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।