কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সাদিয়া আক্তার টুনি (০৯) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাদিয়া উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ লোহাজুরী গ্রামের চুন্নু মিয়ার মেয়ে।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে পাটক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।
সাদিয়ার মা সুফিয়া আক্তার জানান, তার মেয়ে সকালে বাবার সঙ্গে বাড়ির পাশে নদীতে মাছ ধরতে যায়। তখন বৃষ্টি শুরু হলে সে বাড়ি ফিরে আসার সময় নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নদীর পাশে পাটক্ষেতে হাত পা বাঁধা ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ধারনা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণ করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) মো. সোনাহর আলী জানান, নিহত সাদিয়ার মৃতদেহ পরিবারের লোকজন পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার ও সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
সাদিয়ার বাবা চুন্নু মিয়ার অভিযোগ, তার মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চান তিনি।
কটিয়াদী মডেল থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক জয়নাল আবেদীন জনান, ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কে বা কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে, এসব নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মেয়েটি ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে কি-না, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।