শেরপুরে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার প্রায় এক বছর তিন মাসের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই সময়ে করোনায় দুজন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৬২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৫ দশমিক ৫৭ ভাগ। গত বছরের ৫ এপ্রিল জেলায় প্রথম দুই নারীর করোনা শনাক্ত হয়। এরপর এটিই সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। নতুন শনাক্ত ৬৭ জনের মধ্যে শেরপুর সদরে ৪৯ জন, শ্রীবরদীতে ১০ জন ও নকলা উপজেলায় ৮ জন রয়েছেন। সব মিলিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৫৫৩।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, করোনা আক্রান্ত হয়ে শেরপুর সদরের গোপালবাড়ী ও বলাইয়েরচর এলাকার দুই ব্যক্তি মারা গেছেন। গত মে মাস পর্যন্ত শেরপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭৬১ ও ১৫ জন। ১ জুলাই পর্যন্ত আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৫৫৩ ও ৩০ জনে। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে জেলায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৫৫৩ জনের মধ্যে শেরপুর সদরে ১ হাজার ৩২, নকলায় ১৭৯, নালিতাবাড়ীতে ১৪৭, ঝিনাইগাতীতে ৭৯ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ১১৬ জন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৯০৭ জন।
সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, শেরপুরে করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে। বর্তমানে প্রায় প্রতিদিনই ২ থেকে ৩ জনের মৃত্যু হচ্ছে। করোনার ভয়াবহতা নিয়ে সাধারণ মানুষের উদাসীনতার কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তাই করোনার নিয়ন্ত্রণ ও বিস্তার রোধে মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা পালন করতে হবে।