নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবন জোরপূর্বক ভেঙে বাড়ি নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দা শাহীন পাঠানের বিরুদ্ধে। আর এতে সহযোগিতা করছেন খুশিগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ইউনুছ পাঠান।
এ ব্যাপারে রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রংছাতি মৌজায় শাহীন পাঠানের বাবা গিয়াস উদ্দিন পাঠান ১৯৬৩ সালে ৩৫ নম্বর খতিয়ানের বিভিন্ন শ্রেণিভুক্ত এসএ ২১৫ ও ১১৭ দাগে দুটি দলিলমূলে ১.৩২ শতক জায়গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ইউনিয়ন কৃষি কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ইউনিয়ন কাউন্সিল বরাবরে দান করেন। সোমবার দুপুরে শাহীন পাঠান ও ইউনুস পাঠানের নেতৃত্বে পরিত্যক্ত ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি ভেঙে ওই জায়গায় একটি নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করছেন।
সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, ৮-১০ জন শ্রমিক বাড়ি নির্মাণের কাজ করছেন। এ সময় তারা বলেন, এই বাড়ি নির্মাণ করছেন শাহীন পাঠান।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও গিয়াস উদ্দিন পাঠানের ভাতিজা আনিছুর রহমান পাঠান জানান, এই জায়গাটি তার চাচা গিয়াস উদ্দিন পাঠান পাকিস্তান আমলেই ইউনিয়ন কাউন্সিল বরাবরে রেজিস্ট্রিমূলে দান করে গেছেন।
অভিযুক্ত শাহীন পাঠান এসব সম্পত্তি নিজের বলে দাবি করে বলেন, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পত্তির ওপর নিজের খরচে বাড়ি নির্মাণ করছি। এখানে ইউনিয়ন পরিষদের কোনো জায়গা নেই। তবে এই দাবির পক্ষে এসময় তিনি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের জায়গা দখল ও স্থাপনা ভাঙচুরের বিষয়টি ইউএনও ও ওসিকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বলেন, সরকারি জমি দখলের অভিযোগ পেয়েছি। নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে ওসিকে বলা হয়েছে।
কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ খাঁন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করা হয়েছে।