ভেন্টিলেটর দেখেই বছর পার করেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা। প্রয়োজনীয় জনবল সংকটের কারণে এক বছরেও ভেন্টিলেটর চালু করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে রোগী ও স্বজনদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বছর খানেক আগে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য দুটি ভেন্টিলেটর সরবরাহ করা হয়। চলতি বছরের শুরুতে আরও দুটি ভেন্টিলেটর আসে হাসপাতালে। এনেসথেটিস্ট ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এ চারটি ভেন্টিলেটর চালু করতে পারছেন না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্র জানায়, করোনা পরিস্থিতির শুরুতে হাসপাতালটিতে ৩৬ শয্যা নিয়ে চালু করা হয় করোনা ওয়ার্ড। কেবল ৩৬ টি শয্যা, তিনটি পালস অক্সিমিটার, ১১টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে। শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য অক্সিজেন সহায়তা অপরিহার্য হলেও পুরো হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা চালু করা হয়নি। গণপূর্ত বিভাগ সেন্ট্রাল অক্সিজেন চালুর জন্য একটি প্রকল্প অনুমোদন করছে। তবে এখনো শেষ হয়নি এর কাজ।
নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এএসএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ভেন্টিলেটর চারটি চালু করতে কমপক্ষে তিনজন এনেসথেটিস্ট ও অন্তত একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন। সমস্যা সমাধানে জন্য বিভাগীয় পরিচালকের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের মধ্যে সেন্ট্রাল অক্সিজেন স্থাপনের কাজ শেষ হবে। আশা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে চালু করতে পারবো।
নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, সদর হাসপাতালে চারটি ভেন্টিলেটর মেশিন রয়েছে। এগুলো চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় জনবল চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
জেলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৪৭৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১ হাজার ১৪৯ জন সুস্থ হয়েছেন।মারা গেছেন ২৯ জন।