শেরপুরের শ্রীবরদীতে জমি নিয়ে বিরোধে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে শফিউল ইসলাম শফি (৭০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২৬ জুন) দুপুরে উপজেলার ভায়াডাঙ্গা হাঁসধরা গ্রামে। এ ঘটনায় হামলার অভিযোগে কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ নামে হাঁসধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় ওই শিক্ষকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাঁসধরা গ্রামের মৃত বদিউজ্জামান বদরের ছেলে কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ স্থানীয় হাঁসধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক। সম্প্রতি তার চাচা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য কালি মোল্লা ও প্রতিবেশী হাফেজিয়া মাদরাসার সভাপতি শফিউল ইসলাম শফির সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দাখিল করেন। তার অভিযোগের তদন্ত করতে শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এসআই সাইফুল ইসলাম। এ সময় গ্রাম্য মাতব্বরসহ এলাকার শতাধিক লোকের সমাগম ঘটে। এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ উত্তেজিত হয়ে বয়োবৃদ্ধ শফিউল ইসলাম শফির ওপর হামলা করে তাকে কিলঘুষি মারলে শফি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সময় উপস্থিত লোকজন বিদ্যুৎকে বাধা দেন। সেখানেই মারা যান তিনি। এতে উত্তেজিত হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকেই শিক্ষক বিদ্যুৎকে আটক ও নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ওই হাফেজিয়া মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মুসলিম মিয়া বলেন, বিদ্যুৎ এর আগেও মাদরাসায় হামলা করে দরজা জানালার ক্ষতি করেছেন। কয়েকবার শফিকে মারার জন্যে হামলা করেছিলেন। স্থানীয় লোকজনের বাধার কারণে মারতে পারে নাই। ওই সময় বিদ্যুৎ তাকে কিলঘুষি মারেন। এতে মাটিতে পড়েই তিনি মারা যান।
থানা সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মারিয়া আক্তার (৬৫) বাদী হয়ে কামরুজ্জামান বিদ্যুৎ, আইয়ুব আলী, আবুল মুনছর, সাইদুর ইসলাম, নায়েব আলী, ময়মনা বেগম, বিউটি বেগম ও হাসনা বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওসি (তদন্ত) ইসকান্দার হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামি কামরুজ্জামান বিদ্যুৎক রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়াও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।