কিশোরগঞ্জে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে এক কর্মচারী ফার্মেসির মালিককে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের পাঁচধা এলাকায় কোপানোর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নিহত ওই ব্যক্তির নাম জিয়াউর রহমান (৪৫)। তিনি জেলার হোসেনপুর উপজেলার পুমদী ইউনিয়নের রানাগাঁও গ্রামের আবদুর রাশিদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার লতিবাবাদ দক্ষিণপাড়া এলাকায় বসবাস করে জেলা শহরের গাইটাল ফার্মের মোড় এলাকায় সুমাইয়া মেডিকেল হল নামে একটি ফার্মেসি চালাতেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন হলেন মো. এনামুল (২৪) ও সুমন মিয়া (২৭)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিয়াউর রহমানের মালিকানাধীন সুমাইয়া মেডিকেল হলের সাবেক কর্মচারী এনামুল। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় বিভিন্ন সময় লক্ষাধিক টাকা নেন এনামুল। এসব টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি করে আসছিলেন তিনি। এ নিয়ে জিয়াউর ও এনামুলের মধ্যে কয়েকবার কথা-কাটাকাটিও হয়েছে। এ নিয়ে একপর্যায়ে এনামুলকে চাকরিচ্যুত করেন জিয়াউর। এতে এনামুল ক্ষিপ্ত হন। শুক্রবার রাতে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে মুঠোফোনে জিয়াউরকে পাঁচধা এলাকার নির্জন স্থানে ডেকে নেন এনামুল। এরপর সেখানে জিয়াউরকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়। পরে এলাকাবাসী জিয়াউরকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়ে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত জিয়াউর রহমানের ছোট ভাই রাসেল মিয়া বলেন, আহত অবস্থায় জিয়া তাঁর ওপর হামলাকারী এনামুলের কথা বারবার বলছিলেন। তবে ঘটনায় আর কারা জড়িত, তাদের চিনতে পারেননি জিয়া।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী মোছা. আছমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।