নেত্রকোনার মদনের পল্লীতে ধর্ষণে এক প্রতিবন্ধী কিশোরী (১৬) অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে আছির উদ্দিন (২০) নামে এক যুবকসহ ৩ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে মদন থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের মাঘান পশ্চিম পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আছির উদ্দিন নেত্রকোনার খালিয়াজুরি উপজেলার বোয়ালী গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, আছির উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে মাঘান পশ্চিমপাড়া গ্রামের মামা রফিকুলের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। রফিকুলের প্রতিবেশী ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করলে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ওই কিশোরী অসুস্থ হলে গত (১৮ জুন) ডাক্তারের কাছে নিয়ে আসেন তার পরিবারের লোকজন। ডাক্তার নাদিয়া নাসরিন আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে উল্লেখ করেন, ওই কিশোরী চব্বিশ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা। পরে আছির উদ্দিনের পরিবারকে এ ঘটনা জানালে এলাকার মাতব্বররাই শালিসী বৈঠক করেও বিষয়টি মীমাংসা করতে পারেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীর মা আছির উদ্দিনকে আসামি করে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শালিসের মাতব্বর সাবেক ইউপি সদস্য মাঘান গ্রামের চান্দু মিয়া জানান, মেয়েটির পরিবারের লোকজন এ বিষয়টি এলাকার মাতব্বদের জানালে একাধিক শালিস বৈঠক হয়। এতে ছেলে পক্ষ অসম্মতি প্রকাশ করায় বিষয়টি মিমাংসা করা সম্ভব হয়নি।
ওই প্রতিবন্ধী কিশোরীর মা বলেন, আমার মেয়েটিকে আছির উদ্দিন ধর্ষণ করায় অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে। থানায় মামলা করেছি। আমি এর ন্যায় বিচার চাই।
অভিযুক্ত আছির উদ্দিনের মা আছমা আক্তার জানান, আমার ছেলে আছির উদ্দিন যদি অপকর্ম করে তাহলে তাদের ডাক্তারি পরিক্ষা করা হবে। ডাক্তারি রিপোর্টে প্রমাণিত হলে মেয়েটিকে আমার ছেলের বউ হিসাবে গ্রহণ করবো।
মদন থানার ভারপ্রাপ্তা কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, এ ব্যাপারে কিশোরীর মা বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামি করে বৃহস্পতিবার রাতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ জোড় চেষ্টা চালাচ্ছে।