ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেননি এমন মানুষের সংখ্যা তিন সহস্র্রাধিক। এর মধ্যে অনেকে আছেন বিদেশগামী। ফলে দ্বিতীয় ডোজের জন্য তাদের বিদেশ যাত্রা আটকে গেছে। দ্বিতীয় ডোজ টিকা বিভাগ ও জেলা পর্যায়ে প্রেরণ হলেও উপজেলা পর্যায়ে কবে আসবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, গফরগাঁও উপজেলায় সরকারি বরাদ্দকৃত প্রথম ডোজের ২৪ হাজার ১৫১টি টিকার মধ্যে প্রথম চালানে বরাদ্দের অর্ধেক টিকা প্রেরণ করা হয়। কিন্তু টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেন ১৭ হাজার ৮৯৮ জন। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৭ হাজার ৯৩ জন, নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩ হাজার ৬৪৫ জন।
রাঘাইচটি এলাকার কুয়েত প্রবাসী আব্দুল জলিল ছুটিতে দেশে ফিরে টিকার প্রথম ডোজ নেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে না পারায় ছুটি শেষ হলেও পুনরায় কুয়েত যেতে পারছেন না। টিকা গ্রহণের হার কম থাকায় সরকারি বরাদ্দের অর্ধেক টিকা দেওয়ার আগেই প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার সময় শেষ হয়ে যায়। ফলে বরাদ্দের বাকি অর্ধেক টিকা আনা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষায় নমুনা দিয়েছেন ১ হাজার ৯৪৬ জন। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে পজিটিভ হয়েছেন ২০৯ জন আর মারা গেছেন ৫ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাইনউদ্দিন খান বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ছাড়াও ৬টি ইউনিয়নে টিকাদান ক্যাম্পেইন করেও প্রাপ্ত অর্ধেক টিকা শেষ করতে পারিনি। এর মধ্যেই প্রথম ডোজ দেওয়া শেষ হয়ে যায়। ফলে বরাদ্দের বাকি অর্ধেক টিকা আনা সম্ভব হয়নি। দ্বিতীয় ডোজের টিকা কবে পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি।