ময়মনসিংহের তারাকান্দায় রাতে বোনের বাড়িতে যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ (৩২)। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিন (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (২০ জুন) রাতে তাকে আটক করা হয়। শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে ওই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী নারীর ছোটভাই অভিযোগ করে বলেন, ‘ঘটনার রাতে সাড়ে ৯টার দিকে আমার বোন স্বামীর বাড়ি থেকে ছোট বোনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বিসকা ইউনিয়নের খালেক মিয়ার ছেলে আবু বক্কর (৩২) ও একই ইউনিয়নের জাহেদ মোল্লার ছেলে মোখলেছ ওই তার রাস্তা রোধ করে। পরে ওই বোন দৌড় দিয়ে পাশের বাড়িতে উঠলে সেখান থেকে ধরে এনে তারা নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। তার কাছে ১০ হাজার টাকা দাবি করে। বোন বিকাশে ৪ হাজার টাকা এনে আবু বক্কর ও মোখলেছ মিয়ার হাতে তুলে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘টাকা পাওয়ার পরও মোখলেছ মিয়া ও আবু বক্কর ওই এলাকার আরও দুজনের কাছ থেকে ২ হাজার ৭০০ টাকা নিয়ে তারা চারজনে মিলে আমার বোনকে ধর্ষণ করে। ১৭ জুন ভোরে বোন বাড়িতে ফিরে তার পরিবারে বিষয়টি জানায়। আমরা থানায় বিষয়টি মৌখিকভাবে জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে ওইদিনই তরাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।’
নারীর ছোট ভাই বলেন, ‘শুক্রবার রাতে বোন থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। রোববার মামলা করার কথা ছিল। রোববার আমরা থানায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হই। কাশিগঞ্জ বাজারে গেলে তারাকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া ৩ লাখ টাকায় মীমাংসা করবেন বলে সালিশ বৈঠক করেন। কিন্তু তাও হয়নি।’
মীমাংসার বিষয়টি জানতে চাইলে সোমবার (২১ জুন) সকালে আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল মিয়া বলেন, ‘মীমাংসার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টাও করিনি। আমি নিজেই ভিকটিম ও তার ভাইকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলাম। শুনেছি রোববার রাতে একজনকে আটক করা হয়েছে।’
তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ঝুটন কুমার বর্মণ বলেন, ‘অভিযোগ দেয়ায় রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তুহিন নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’