ময়মনসিংহের নান্দাইলের চৌরাস্তা অরণ্যপাশা এলাকার ভাড়াবাসার একটি কক্ষ থেকে গত শুক্রবার এক মহাজনের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মো. আসাদ মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন। মামলার পরদিন ময়মনসিংহ ডিবি পুলিশ হত্যায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করে। আজ রবিবার তাদের আদালতে হাজির করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামিরা। পরে তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
ময়মনসিংহ জেলা ডিবি পুলিশের ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান, প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুনিদের সনাক্তের পর চারজনকেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রধান অভিযুক্ত হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মো. আরাফাত উল্লাহর ছেলে নাঈম ইসলাম (১৯) তাদের জানান, গত প্রায় ছয় মাস ধরে তারা আটজন হকার ও একজন মহাজন মিলে নান্দাইল উপজেলার চৌরাস্তা এলাকার অরণ্যপাশা নামক স্থানে ভাড়া বাসায় থেকে কাঠের তৈরি নানা তৈজসপত্রের ব্যবসা করে আসছিল। এ অবস্থায় মহাজনকে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার টাকা আমদানি দিত। এর মধ্যে একদিনের প্রায় তিন হাজার টাকা তিনি মহাজনকে দেননি। এ নিয়ে প্রত্যেকদিন তাগাদা করেন মহাজন জাহিদ ইসলাম তালুকদার (৫৫)। এক পর্যায়ে তিনি ঢাকায় চলে যায়। সেখানে পুরো ঘটনাটি তার বন্ধুদের জানালে বন্ধুরা সিদ্ধান্ত নেয় নান্দাইলে গিয়ে মহাজন জাহিদকে হত্যা করবে এবং তার কাছে থাকা টাকা ও মোবাইল নিয়ে আসবে।
এ কথায় রাজি হয়ে নাঈম গত বৃহস্পতিবার রাতে নান্দাইলে এসে মহাজনের কক্ষে প্রবেশ করে। পরে খেয়ে সকলেই বিছানায় গেলে মহাজন জাহিদ ঘুমিয়ে পড়লে চারজনে মিলে তাকে হাত-পা বেঁধে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে।
শুক্রবার খুব ভোরে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সঙ্গে নিয়ে যায় মহাজনের দুটি মোবাইল ও নগদ এক হাজার টাকা। অন্য খুনিরা হচ্ছেন- ঢাকার কোটবাড়ি এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে হোসেন আলী(২১), ময়মনসিংহের নারায়নপুর গ্রামের সালামতের ছেলে রাসেল মিয়া (১৯) ও একই এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে সুমন মিয়া (১৯)।