শেরপুরে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা। শুধু জুনের ১২ দিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১১০ জন, মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে শেরপুর পৌর শহরে তিন দিন ধরে চলছে বিধিনিষেধ। তবে এই তিনদিনে দেখা যায়নি স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং-প্রচারণার পরও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে উদাসীন শেরপুরের সাধারণ মানুষ।
সাম্প্রতিক সময়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির রুমান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন, শেরপুর প্রেস ক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মানিক দত্তের করোনা শনাক্তের পর স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে বাড়ে প্রশাসনের কঠোরতা। এরপরও মাস্ক দেখা যায়নি শহরের বাজারগুলোতে। ‘নো মাস্ক-নো বাজার’ ব্যানারের পেছনেই মাস্কবিহীন ক্রেতা বিক্রেতার ভিড় দেখা গেছে। একইসঙ্গে গাদাগাদি করে করছেন বাজার-সদাই।
বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে শনিবার (১২ জুন) জেলায় ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তৃতীয় দিন রোববার কিছুটা কমে ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এদিকে, করোনা রোধে দিনের পাশাপাশি রাতের বেলাতেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হলেও এখনো উদাসীন শেরপুরের মানুষ। যারা ফেসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় শেরপুরে লকডাউন চেয়ে পোস্ট করতেন, তারাও এখন ট্রল নিয়ে ব্যস্ত। স্বাস্থ্যবিধি মানতে জেলা ভিত্তিক ফেসবুক গ্রুপে প্রচারণার পোস্টেও হেয়ালি করেই ট্রল কমেন্ট করছেন অনেকে।
শনিবার বিকেলে শহরে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার পর সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই সব বিপণী বিতান বন্ধ হয়ে গেলেও শহরজুড়ে মানুষের আনাগোনা ছিল মধ্যরাত পর্যন্ত।
শেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আমাদের বিপদ বাড়বে। যদিও শেরপুরে এখনো ভারতীয় ধরন লক্ষ্য করা যায়নি। তবুও গত কয়েক মাসের তুলনায় শেরপুরে শনাক্তের হার অনেক বেশি। তাই আমাদের নিজেদের সচেতন না হলে, কোনোভাবেই করোনার হাত থেকে বাঁচা সম্ভব হবে না।’