ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার বারুইগ্রাম মাদ্রাসার অনতিদূরে সড়কের পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের পরিচয় ৩০ ঘণ্টায়ও জানা যায়নি। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) গতকাল শুক্রবার লাশের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করলেও তা ম্যাচিং হচ্ছে না বলে জানিয়েছে।
এদিকে নান্দাইল হাইওয়ে থানা-পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশটি আজ শনিবার কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যার আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ খান জানান, গতকাল খুব ভোরে থানা থেকে কিছুটা দূরে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে বারুইগ্রাম নামক স্থানে লাশ পড়ে থাকার খবর আসে। পরে লাশটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরিচয় শনাক্ত করার জন্য পিবিআইয়ের সহায়তা চাওয়া হয়। পিবিআইয়ের দল এসে লাশের আঙুলের ছাপ ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করে।
এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য লাশটি আজ সকাল পর্যন্ত থানায় রাখা হয়।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, প্রচুর লোকজন হাইওয়ে থানায় গিয়ে লাশ দেখলেও কেউ পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। স্থানীয় লোকজনের ধারণা, মৃত ব্যক্তি এই এলাকার বাসিন্দা নন। লাশের পরনে লুঙ্গি-পাঞ্জাবি ও একটি গিলাফ ছিল। ওসি মাসুদ খান আরও জানান, লাশের মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। পরিচয় শনাক্ত না হলে লাশ আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামকে দেওয়া হবে।
মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ময়মনসিংহের পিবিআইয়ের পরিদর্শক (প্রশাসন) মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, তাঁরা প্রযুক্তি ব্যবহার করেও নান্দাইলে পাওয়া লাশের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। কারও সঙ্গে মৃত ব্যক্তির আঙুলের ছাপ ম্যাচিং হয়নি।