রীতিমতো আতঙ্কের জায়গায় পরিণত হয়েছে ময়মনসিংহ নগরীর ব্রহ্মপুত্র নদের শম্ভুগঞ্জ সেতুর পূর্ব প্রান্ত। এখানে প্রায়ই ঘটছে ছিনতাই। ছিনতাইয়ের কারণে প্রতিদিন এ স্থান দিয়ে হাজারও মানুষ আতঙ্ক নিয়ে যাতায়াত করছেন। মূলত মাদকসেবীরা নীরব এলাকা হিসেবে স্থানটিকে বেছে নিয়ে ছিনতাই করছে। সন্ধ্যার সময় রীতিমত বিপজ্জনক এলাকা হয়ে ওঠে এ স্থানটুকু। এদিকে কোতোয়ালি পুলিশ জানিয়েছে জায়গাটির ছিনতাই রোধে তারা সচেতন। প্রয়োজনে সেখানে স্থায়ী পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ময়মনসিংহ জেলার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলসহ শেরপুর, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলার লোকজন এ সেতু হয়ে চলাচল করেন। প্রায় প্রতিদিনই এ সেতুতে যানজট হয়। বিশেষ করে বিকেল ও সন্ধ্যার সময় তীব্র যানজটে সেতুর পূর্ব দিকে অনেক বিপুল সংখ্যাক বাস ও রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। ময়লাকান্দা থেকে সেতু পর্যন্ত এ জায়গাটি কিছুটা নীরব। এ সময় শহরের দিকে আসা অনেক যাত্রী বাস-রিকশা থেকে নেমে পায়ে হেঁটে সেতু পাড় হয়ে শহরের দিকে চলে আসেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, এসব যাত্রীদেরই টার্গেট করে ছিনতাইকারীরা। তারা হেঁটে চলা যাত্রীদের গায়ে গা ঘেঁষে চাকু ঠেকিয়ে অনেক সময় সেতুর নিচে নিয়ে যায়। সেখানে সব কিছু রেখে ছেড়ে দেওয়া হয়। আবার অনেক সময় ধীর গতিতে চলা রিকশার ওপর ছিনতাইকারীরা ওঠে পড়ে। এরপর যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, সেতুর পূর্ব প্রান্তে বেশ কিছু চা’র দোকান আছে। ছিনতাইকারীরা এসব চা’র দোকানেই আড্ডা মারে। নগরীর মাদকসেবী ও ছিনতাইকারীরাও এসব চা’র দোকানে বসে ওত পেতে থাকে।
সম্প্রতি এ প্রতিবেদক সন্ধ্যার পর শম্ভুগঞ্জ থেকে নগরীর দিকে রিকশাযোগে আসার সময় দুজন ছিনতাইকারী হঠাৎ করে রিকশায় ওঠতে চায়। কৌশলে প্রতিবেদক জায়গাটি অতিক্রম করেন। এ স্থানটির ছিনতাই আতঙ্ক নিয়ে নগরীর সর্ব মহলই অবহিত। ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার বলেন, ওই জায়গাটি কিছুটা নীরব। তাই সেখানে কিছু সমস্যা হয়। তবে যাত্রী ও পথচারীদের নিরাপত্তায় ওই এলাকাতে স্থায়ীভাবে পুলিশ পাহারার ব্যবস্থা করা হবে।